ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

‘জীবনবোধ-মনুষ্যত্ববোধের  উপলব্ধিতে মানুষকে নিয়ে লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ’ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৬ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
‘জীবনবোধ-মনুষ্যত্ববোধের  উপলব্ধিতে মানুষকে নিয়ে লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ’ 

সিরাজগঞ্জ: ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ ও তাঁর সৃষ্টিকর্ম শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে অনুপ্রেরণা যোগায়।

তিনি বলেন, তাই বঙ্গবন্ধু কবিগুরুর অমর সৃষ্টি ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করেন।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, কবিগুরু  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রবন্ধকার, ছোটগল্প লেখক, সংগীত রচয়িতা, কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা। সাহিত্যের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি তাঁর মেধার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। তাঁর জীবনবোধ ও মনুষ্যত্ববোধের উপলব্ধিতে তিনি প্রকৃতি এবং মানুষকে নিয়ে লিখেছেন। শাহজাদপুর ধন্য রবীন্দ্রনাথকে পেয়ে।  

বুধবার (৮ মে) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি মিলনায়তনে কবিগুরুর ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।  

মন্ত্রী বলেন, শাহজাদপুরে বসে তিনি কবিতা, গল্প, উপন্যাস লিখেছেন। তিনি কৃষকদের কথা চিন্তা করে ১২শ একর জমি রেখে গিয়ে ছিলেন। কৃষকদের জন্য সমবায় ব্যাংক ও প্রাণিসম্পদের উন্নতির জন্য কাজ করে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রবীন্দ্রনাথের লেখনীর খুবই ভক্ত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের গানই আজ বাংলাদেশসহ ভারত ও শ্রীলংকার জাতীয় সংগীত।  

তিনি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ব্যাপারে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অন্যান্যরা সক্রিয় হলে তাদের চাহিদামতো ২শ একর জমি ক্যাম্পাসের জন্য দেওয়া যাবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরি, শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমান, শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান প্রমুখ।

এর আগে উদ্বোধনী সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন উপজেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির শিল্পীরা এবং আবৃত্তি পরিবেশন করেন বর্ণমালা, অক্ষর ও উচ্চারণ আবৃত্তি সংগঠনের শিল্পীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।