ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা অভিযানেও শিক্ষার্থীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২৪
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা অভিযানেও শিক্ষার্থীরা

ব‌রিশাল: সেনাবাহিনীর টহল ব্যতীত মাঠে কোন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা না থাকলেও বরিশালে অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে সাধারণ মানুষের চলাচল।

দোকানপাটসহ, বিপনি-বিতান ও অফিস আদালত খোলা থাকায় সেসব জায়গাতে লোকসমাগম বেড়েছে।

ফলে বিগত কয়েকদিনের থেকে সড়কগুলোতে রিকশা, ব্যাটারি রিকশা, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের গণপরিবহন এবং মোটরসাইকেলসহ ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল বেড়েছে।

আর বাড়তি গাড়ির চাপ সামাল দিতে সড়কে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিক্ষার্থীরা আজও মাঠপর্যায়ে কাজ করছে। তবে মঙ্গলবারের থেকে বুধবারে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রম উপস্থিতি যেমন বেড়েছে, তেমনি তাদের কর্ম এলাকাও বাড়ানো হয়েছে।

মোটরসাইকেল চালক নাদিম জানান, বুধবার নগরের এমন কোনো ব্যস্ততম সড়ক নেই কিংবা সড়কের মোড় নেই যেখানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। তারা যানবাহন চলাচলে সার্বিক সহযোগিতা করছেন। গাড়ির চাপ অনুযায়ী ম্যানুয়াল সিগন্যাল (হাত ও বাঁশি) এর মাধ্যমে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, সেইসাথে শৃঙ্খলা থাকায় নগরের সদর রোডে তেমন কোন যানজটও পরিলক্ষিত হয়নি দুপুর পর্যন্ত।

তিনি বলেন, যানবাহন চালকদের ট্র্যাফিক আইন মেনে চলার অনুরোধ করার পাশাপাশি মোটরসাইকেল চালনার ক্ষেত্রে হেলমেট ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।

এদিকে নগরের সদর রোডসহ বিভিন্ন সড়ক, ফুটপাত ও এলাকায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ দেশটা যেমন আপনার তেমনি আমারও। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা দেশটাকে সুন্দর-স্বাভাবিক রাখতে যেমন চাই, তেমনি সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের যানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সবাইকে নিয়ে বসবাসও করতে চাই। সুবিধাবাদীরা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালালেও আমরা সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম থাকবো। আর সাধারণ মানুষও আমাদের পাশে রয়েছে।

এদিকে গেল রাতেও বরিশালের বিভিন্ন উপসনালয়, মন্দিরের নিরাপত্তায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন। সেইসাথে বরিশালের বিভিন্ন উপজেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের খোঁজখবর নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। তাদের শান্তিতে বসবাস করার পাশাপাশি কোন ধরনের সমস্যা হলে নেতাদের অবগত করার কথা জানিয়ে পাশ থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

অপরদিকে হামলার ঘটনার পর বরিশাল প্রেসক্লাব পরিদর্শনে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। ওইসময় তারা সাংবাদিক সংগঠন ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা,আগস্ট ০৭,২০২৪
এমএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।