ঢাকা: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী আসার ৭ বছর হলেও তাদের প্রত্যাবাসনে কোনো গতি নেই। নানা কারণে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া থেমে আছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেন রোহিঙ্গারা। এরপর গত ৭ বছরে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢলের ৭ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার টুর্ক বলেছেন, চলতি মাসে মিয়ানমারে সামরিক অভিযানের ৭ বছর পূর্ণ হচ্ছে। ওই অভিযানে সীমান্ত পেরিয়ে ৭ লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে পালানোর সময় কয়েক শ বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। ভলকার তুর্ক বলেন, এই নৃশংসতায় দায়ীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে এবং এ ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হয়। এই কমিটি কয়েক দফা বৈঠকের পরেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আর সামনে এগোতে পারেনি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। সে অনুযায়ী একই বছর ১৯ ডিসেম্বর মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এলে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হয়। এই যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে কাজ করছে। তবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় খুব একটা অগ্রগতি হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা,আগস্ট ২৫,২০২৪
টিআর/এমএম