ঢাকা, শুক্রবার, ২১ ভাদ্র ১৪৩১, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আগামী প্রজন্ম নিরাপদ-তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪
আগামী প্রজন্ম নিরাপদ-তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে

ঢাকা: একটা সুস্থ-সবল প্রজন্মই পারে এ নতুন বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে। পাশাপাশি তামাকের বিপক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো ও শক্তিশালী জনমত গঠন করতে সাহায্য করবে।

এভাবেই তারা বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্টি-টোব্যাকো ক্লাব আয়োজিত ‘তামাকের ব্যবহার রোধ করি, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি’ শপথে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী’ শীর্ষক সম্মেলনে এসব কথা বলে বক্তারা।  

সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেড় শতাধিক তরুণ শিক্ষার্থী তামাকের বিরুদ্ধে কাজ করার প্রত্যয় জানান। পাশাপাশি তামাকমুক্ত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়তে তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার রোধ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।    

সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. ফারহানা জামান বলেন, আজকে তরুণদের হাতেই বাংলাদেশ। একটা সুস্থ-সবল প্রজন্মই পারে এ নতুন বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে। পাশাপাশি তামাকের বিপক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো ও শক্তিশালী জনমত গঠন করতে সাহায্য করবে। এভাবেই তারা বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি দেশের নীতি নির্ধারকসহ আমাদের সবাইকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।      

সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্টি-টোব্যাকো ক্লাবের উপদেষ্টা ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্টি-টোব্যাকো ক্লাব শিক্ষার্থীদের মধ্যে তামাক ব্যবহার রোধ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি তামাকের স্বাস্থ্য ক্ষতি থেকে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তরুণদের নেতৃত্বে গণসচেতনতা ও গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশে ৩৫.৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ, যা প্রায় ৪ কোটির বেশি। তাই আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। তামাকপণ্যে আসক্ত তরুণদের অংশগ্রহণে তামাকবিরোধী প্রচারণাকে আরও জোরদার করতে হবে এবং নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।   

তামাকের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে আলোচনায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আতাউর রহমান তামাকের বহুমাত্রিক ক্ষতি তুলে ধরে বলেন, আজকে তরুণদের হাতে বাংলাদেশ। দেশের ৪৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীই তরুণ এবং এসব তরুণের বৃহৎ অংশই তামাকজাত পণ্যে আসক্ত, যা জাতিগতভাবে আমাদের জন্য হুমকি স্বরূপ। দেশে তামাকজাত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়। তাই জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাকের ব্যবহার রোধ করা জরুরি। বিশেষ করে তরুণ সমাজ ও শিশু-কিশোরদের রক্ষা এবং অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে তামাক পণ্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আশেক মাহমুদ বলেন, সুস্থ-সমৃদ্ধ দেশের জন্য ধূমপানমুক্ত সমাজ দরকার। পরিবর্তিত এ সময়ে আমাদের এখনি সচেতন হতে হবে। বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম তামাকবিরোধী ক্লাব হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এ ক্লাবের অন্যতম কাজ হবে শিক্ষার্থী ও তাদের পরিচিতজনদের তামাক থেকে দূরে রাখতে সক্ষম হওয়া। পাশাপাশি তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে কাজ করে যাওয়া।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্টি টোব্যাকো ক্লাবের সভাপতি মুতাসিম বিল্লাহ বলেন, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তামাকবিরোধী ক্লাবের সৃষ্টি হয়েছে। এ ক্লাবের নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের তামাকের ব্যবহার রোধ করতে উৎসাহিত করছি। পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখার দেশের নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।     

অনুষ্ঠানের আগে ক্যাম্পাসে তামাকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরিতে শোভাযাত্রা করে ক্লাব সদস্য, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৪
এমএমআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।