খুলনা: খুলনার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের ক্যাডার ছিলেন অভিযোগ করে মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, ১৯৯৮ সালে থেকে টানা ৪ বছর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি বাহাদুর বেপারীর একান্ত সহযোগী ও পোষ্য ক্যাডার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাস ছিলেন মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। ২৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌলভীবাজারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির শিরোনাম হয়েছিলেন তিনি।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে খুলনাবাসীর পক্ষে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ দাবি জানিয়েছেন নাগরিক নেতারা।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নূরুল হাসান রুবার সভাপতিত্বে অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে খুলনার নাগরিক নেতা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও উন্নয়ন সংস্থার নেতারা বক্তব্য দেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি খুলনার বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সরাসরি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহস্রাধিক জীবনের বিনিময়ে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ছাত্রলীগের চিহ্নিত ক্যাডার, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর এজেন্ট এবং একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার হাতে ছেড়ে দেওয়া যায় না। তাই অবিলম্বে খুলনা থেকে তাকে প্রত্যাহার করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মুখোমুখি করে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে সহায়তা করার অপরাধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে খুলনাবাসী। মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের মতো কর্মকর্তাদের হাতে খুলনা তথা বাংলাদেশ নিরাপদ নয় বলে দাবি করেছেন বক্তারা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে গত ৯ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে খুলনার জেলা প্রশাসক দায়িত্ব দেয় সরকার। এর আগে গত ২০ আগস্ট খুলনার সর্বশেষ জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিনকে প্রত্যাহার করে বদলি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
এমআরএম/আরবি