লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় ১৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৩৫০ জনের নামে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
এতে সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ নেতা একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রধান ও লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল (সদর) আদালতে আল সবুজ ভুঁইয়া নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বাদী রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের বামনী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ভুঁইয়ার ছেলে। তিনি গত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন৷
আদালতের বিচারক আবু ইউছুফ মামলাটি আমলে নিয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআর দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীর আইনজীবী মোসাদ্দেক হোসেন বাবর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন প্রধান আসামি টিপুর বড় ভাই আফতাব উদ্দিন বিপ্লব, ছোট ভাই শিবলু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন লিকা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সেবাব নেওয়াজ, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার কাউন্সিলর খোকন বড় মিয়া, উত্তম দত্ত, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রাহিমা আক্তারসহ ১৬৩ জন।
এজাহার সূত্র জানায়, গত ৪ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ওইদিন গভীর রাত পর্যন্ত জেলা শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় থাকা টিপুর বাসভবনের সামনে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা পিংকু ও বিপ্লবের হুকুমে টিপুর নেতৃত্বে অন্যান্যরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। এতে কয়েকজন ছাত্র-জনতা মারা যান। ওই ঘটনায় মামলার বাদী সবুজ ভুঁইয়া গুলিবিদ্ধ হন। তার শরীরে চারটি গুলি লেগেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী মোসাদ্দেক হোসেন বাবর বলেন, মামলাটি বিচারক আমলে নিয়েছেন। এফআইআর দাখিলের জন্য আদালত সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
আরএ