ঢাকা, শনিবার, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪
রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র গ্রেপ্তার আলমগীর শেখ তিতু

রাজবাড়ী: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর শেখ তিতুকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার।

আলমগীর শেখ তিতু রাজবাড়ী শহরের ২ নম্বর বেড়াডাঙ্গা এলাকার মৃত আব্দুল গণি শেখের ছেলে।

জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে গত ৩০ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী রাজিব মোল্লা বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি কাজী কেরামত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, কাজী ইরাদত আলীর ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কাজী রকিবুল হাসান শান্তনু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজিব, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান মিয়া সোহেল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহিন শেখ ও রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর শেখ তিতুসহ ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।

সদর উপজেলার মাটিপাড়ার কাউরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার ছেলে ও রাজবাড়ী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র রাজিব মোল্লা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, সারা বাংলাদেশের মতো রাজবাড়ীতেও কোটা সংস্কার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। গত ১৮ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র, অভিভাবক ও শিক্ষকরা রাজবাড়ী শহরের বড়পুল মোড়ে অবস্থান নেন। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক উল্লেখিত এজাহারনামীয় আসামিরা দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে অতর্কিতভাবে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীর নির্দেশে এজাহারনামীয় আসামিরা আন্দোলনকারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা নিক্ষেপ করে ও গুলি করে।  

এছাড়া আন্দোলনকারীদের বেধড়ক মারধর করে গুরুতর জখম করা হয়। আসামিরা আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেও দেয়নি। আসামিদের হামলায় সোনিয়া আক্তার স্মৃতি, নুরুন্নবী, আশিল ইসলাম অভি, রাজিব মোল্লা, মেহেরাব, আলতাফ মাহমুদ সাগর, উৎস সরকার, রিয়াজসহ অসংখ্য আন্দোলনকারী আহত হয়।

র‍্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার বলেন, রাজিব মোল্লার দায়ের করা মামলায় সাত নম্বর আসামি ছিলেন আলমগীর শেখ তিতু। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজা এলাকা থেকে এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তাকে রাজবাড়ী সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।