ঢাকা, রবিবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আমরা বিজ্ঞানভিত্তিক মুক্ত চিন্তার সমাজ চাই: উপদেষ্টা শারমীন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪
আমরা বিজ্ঞানভিত্তিক মুক্ত চিন্তার সমাজ চাই: উপদেষ্টা শারমীন

ঢাকা: সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, আমরা চাই প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় থাকবে শিশুর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ। আমরা বিজ্ঞানভিত্তিক মুক্ত চিন্তার সমাজ চাই।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৪’ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কন্যাশিশুর স্বপ্নে গড়ি আগামীর বাংলাদেশ’।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, আমরা এমন একটি দেশ চাই যে দেশ হবে শিশুবান্ধব। এমন একটি সমাজ চাই যে সমাজ হবে শিশুর মুক্ত চিন্তার উৎকৃষ্টতম স্থান। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় শিশুদের জন্য থাকবে খেলাধুলার স্থান, বেড়ে ওঠার নির্মল পরিবেশ। আমরা চাই প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় থাকবে শিশুর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ। আমরা বিজ্ঞানভিত্তিক মুক্ত চিন্তার সমাজ চাই। আমাদের বর্তমান সভ্যতা আসলে বিজ্ঞানভিত্তিক সভ্যতা। যে সভ্যতায় উদ্ভাবিত সব প্রযুক্তি এ বৈজ্ঞানিক নিয়ম-কানুনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে ৷

উপদেষ্টা শারমীন বলেন, জুলাই বিপ্লবে আমাদের সন্তানরা এমন কিছু দেখেছে, যা তাকে কোমালমতি শিশু কথাটি মানতে দিচ্ছে না। আমরা তাদের কোমলভাবে ভালোবেসে আদর করে কাছে ডাকিনি। আমাদের সন্তানদের চলার সাথি যখন গুলি খেয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লো, তখন আমাদের আপনাদের বিবেক নাড়া দিয়েছে, আর না এখনই রুখতে হবে। শিশুদের সঙ্গে মা-বাবা রাজপথে শিশুর সুরক্ষায় তার পাশে অধিকার আদায়ে সংগ্রামে। আমরা আর ৫ আগস্টে ফিরে যেতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, আমরা সত্য সত্য বলিনি, অন্যায়কে সহ্য করেছি মুখ বুঝে। আমাদের নীতি-নৈতিকতা বধির হয়ে গিয়েছিল। আমাদের নিজেদের মধ্যে নৈতিকতা না থাকলে শিশুদের কী শিক্ষা দেব? আজকের শিশু বৃদ্ধি দীপ্তর জায়গায়, জ্ঞানের জায়গায় থেকে তাদের অনুপ্রাণিত করতে হবে। আমরা কেন আমাদের শিশুদের নিরাপত্তা দিতে পারছি না? ২০২৪ সালের এ শিশুরাই ছিল অগ্রভাগের সৈন্য। এ শিশুরাই এনে দিয়েছে নতুন এক বাংলাদেশ। তাদের এক নতুন নিরাপদ বাংলাদেশ উপহার দেওয়া, একটি সুন্দর নিরাপদ বাংলাদেশ উপহার দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে, মানুষকে সম্মান দিতে হবে। সমাজের নৈরাজ্যতা ভাঙতে হবে।  

আজকের শিশু আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক, দেশ সংস্কারক ও উদ্যোক্তা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, শিশুদের আনন্দ দিতে হবে। আনন্দের মধ্য দিয়ে নীতি-নৈতিকতা, আদর্শ, শিষ্টাচার ও পড়াশোনা শেখাতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি সৃজনশীল কাজ শেখাতে হবে। এতে তার চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি পাবে।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক, তানিয়া খান (অতিরিক্ত সচিব)। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪
এসকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।