বরিশাল: মাদক কারবারে বাধা দেওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত দুই সেনা সদস্যকে দুই দফায় পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
গুরুতর অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- উপজেলার কালুপাড়া গ্রামের শাহ আলম বালীর ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জাহিদুল ইসলাম (৪৫) ও ভাই জাকিরুল আলম (৩৯)।
এ ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত মাদক কারবারির বাসায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিল, মাদক বিক্রির টাকা ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। এ সময় মেঘা বিশ্বাস নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জাহিদুল আলম অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির পার্শ্ববর্তী রাজ্জাক সরদারের বাসার ভাড়াটিয়া নারী মাদক কারবারি রোকসানা বেগম ও তার দুই ছেলে নাফিজুল ইসলাম ও পিয়াল সর্দার দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক বিক্রি করে আসছে। তাদের মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় ওই পরিবারটি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়।
রোববার রাতে গৈলা বাজারে একটি দোকানের সামনে বসে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এরই মধ্যে মাদক কারবারি রোকসানা ও তার দুই ছেলে নাফিস ও পিয়াল পেছন থেকে আমার ওপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে আমার পা ভেঙে দেয়। আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে দ্বিতীয় দফায় আমার ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমার অপর ভাই সেনা সদস্য জাকিরুল ইসলাম (এলপিআর) আমাকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে নাফিস ও পিয়াল।
অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের আহত দুই ভাইকে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানেও হামলা চেষ্টা চালায় ওই মাদক পরিবার। হামলা থেকে রেহাই পেতে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছি। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রোকসানা ও তার দুই ছেলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের ফোন নাম্বার বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. আলম চাঁদ জানান, সোমবার সকালে থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
এমএস/জেএইচ