ঢাকা: রাজধানীর ধানমন্ডির শুক্রাবাদে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধের ঘটনায় মা-বাবার পর মারা গেল সাড়ে তিন বছরের ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী বায়েজিদ। শিশুটির শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যায় বায়েজিদ। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম।
ডা. তরিকুল জানান, শ্বাসনালীসহ শিশুটির শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এর আগে বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে মারা যায় শিশুটির মা নিপা আর মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে বাবা টোটন মাহমুদ।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে শুক্রাবাদ ২৭ নম্বর রোডের বাজার মসজিদের পাশের গলির একটি বাসায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন কারওয়ান বাজার মৎস্য আড়তের শ্রমিক টোটন (৩৫), তার স্ত্রী নিপা আক্তার (২৪) ও সাড়ে তিন বছরের ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী বায়েজিদ।
দগ্ধ নিপার মা রেহানা বেগম জানান, তাদের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার কাচারীকান্দি গ্রামে। চলতি মাসের ১ তারিখেই শুক্রাবাদ বাজার মসজিদের পাশে একটি বাড়ির নিচতলায় ভাড়া উঠেছিলেন টোটন-নিপা দম্পতি। নিপার স্বামী টোটন কারওয়ান বাজারে মৎস্য আড়তে কাজ করেন। আর নিপা অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করেন। তিন সন্তানের জনক জননী তারা। তবে বড় দুই ছেলে-মেয়ে গ্রামে দাদা দাদির কাছে থাকে। ছোট ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী বায়েজিদ বাবা-মায়ের সাথে ওই বাসায় থাকে।
তিনি আরও জানান, ওইদিন ভোর ৫টার দিকে নিপা নিজেই ফোন দিয়ে তাকে জানান, তাদের বাসায় আগুন লেগেছে। তাদের শরীরও পুড়ে গেছে। তাদের দ্রুত বাঁচানোর আকুতি জানান। এর বেশি আর কিছু বলতে পারেনি তখন। পরে ওই বাড়িওয়ালা এবং প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন। বাসায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে এ আগুন লাগতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২৪
এজেডএস/আরবি