ফেনী: ফেনীতে এবার ১৪৬টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে মন্দিরগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে।
ফেনী শহরের গুরুচক্র মন্দিরে গিয়ে কথা হয় প্রতিমার কারিগর কানাই পালের সঙ্গে। তিনি জানান, এবার রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রতিমা তৈরির খড়, মাটি, কাঠসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের সংকট। তিনি এবার ১৬টি প্রতিমা তৈরির কথা থাকলেও সময় ও লোকবল সংকটের কারণে দুটি মন্দিরের কাজ করতে পারছেন না। ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এবার তাদের লোকসানের মুখে পড়ার শঙ্কা করছেন।
জানা গেছে, ফেনী সদর উপজেলায় ৪৭টি, এর মধ্যে পৌর এলাকায় ১২টি, ফুলগাজী উপজেলায় ৩৩টি, সোনাগাজী উপজেলায় ২৩টি, দাগনভূঞা উপজেলায় ১৯টি, পরশুরাম উপজেলায় ৭টি ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় ৫টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
ফেনী শহরের গুরুচক্র মন্দির, দক্ষিণ সহদেবপুর সার্বজনীন পূজা মন্দির ও সুলতানপুর রক্ষা কালী বাড়িসহ বিভিন্ন পূজা মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র রং-তুলির আঁচড়ের কাজ বাকি রয়েছে।
এদিকে ফেনী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে কয়েকদিন আগে বর্ধিত সভার মধ্য দিয়ে প্রতিটি পূজা মন্দিরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে কেন্দ্রীয় ২৩টি নির্দেশনা মেনে সাত্ত্বিক পূজা করতে বলা হয়েছে। সভায় জেলা-উপজেলা ও বিভিন্ন মঠ-মন্দিরের নেতারা অংশ নেন।
অপরদিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দুর্গোৎসব উপলক্ষে নিরাপত্তাবিষয়ক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। জেলা প্রশাসক জানান, প্রতিটি পূজা মন্দিরের জন্য সরকারিভাবে ৫০০ কেজি করে চাউল বরাদ্দ করা হয়েছে। পূজার আগেই এ সহায়তা দেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ থাকবে মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা দিতে।
এছাড়া বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক সংগঠনগুলোও মণ্ডপগুলোতেও স্বেচ্ছাসেবকের উপস্থিতি থাকবে বলে জানা যায়। রাজনৈতিক নেতারা বলেন, যেকোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় তারা তৎপর থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২৪
এসএইচডি/আরবি