ঢাকা: দুর্গাপূজা যেন নির্বিঘ্নে পালিত হয় সেজন্য সরকার সজাগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর রমনা কালী মন্দির পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এরপর রাত সাড়ে ৮টায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা ও জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল উপস্থিত ছিলেন।
কালীমন্দিরে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশে এখন নানাবিধ সমস্যা ও সংকট রয়েছে। তারমধ্যেই এবারের দুর্গাউৎসব পালিত হচ্ছে। উৎসব যেন নির্বিঘ্নে পালিত হয় এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে, সে বিষয়ে আমরা সবাই সজাগ রয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও বৈষম্য রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের যে দাবি-দাওয়া রয়েছে, তা আমরা পূরণের চেষ্টা করছি। নতুন বাংলাদেশে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে আমরা কোনো বৈষম্য দেখতে চাই না।
তিনি বলেন, যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, আমরা তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিচার। আমরা যদি বিচারের সংস্কৃতি তৈরি করতে না পারি তাহলে সমাজ থেকে এ ধরনের অপরাধ বন্ধ করা যাবে না। এ ধরনের ঘটনার মধ্যদিয়ে অনেকেই রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করে, আমরা সে সুযোগটিও তাদেরকে দেব না।
নিরাপত্তা নিশ্চিতের পরও কোনো ঘটনা ঘটলে আইনিশৃঙ্খলা বাহিনীকেও বিচারের আওতায় আনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন, যদি কোথাও ঘটনা ঘটে, তাহলে শুধু অপরাধীদের নয়, এ দায়িত্বশীলদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে। দুর্গাপূজাসহ এ ধরনের উৎসব ধর্মীয় মূল্যবোধ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জগন্নাথ হলে তিনি সবাইকে নতুন বাংলাদেশ তৈরিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ এমন জায়গায় যাক যেখানে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরুর ভেদাভেদ থাকবে না।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপূজার আজ ষষ্ঠী। এ দুই মণ্ডপে রাজধানীর অনেক ভক্ত ও পূণ্যার্থী আজ ভিড় করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৪
জেএইচ