মাগুরা: পূজামণ্ডপটি আধুনিক মানের না হলেও নারীদের অংশগ্রহণে ১৫ বছর ধরে সেখানে শারদীয় দুর্গাপূজা হয়ে আসছে।
প্রতিমা অর্ডার, ঢাকি, পূজারি বাজার করা, নিমন্ত্রণ দেওয়া, প্রসাদ বিতরণ, প্রতীমা বিসর্জনসহ পূজার সকল কাজই ১৫ বছর ধরে করছেন নারীরা।
বাঁশকোঠা গ্রামে দুর্গাপূজা হলেও এ পূজাটি অন্যগুলোর থেকে ব্যতিক্রম। সেখানে সারা বছর নারীরা বিভিন্নভাবে একটু একটু অর্থ জমিয়ে পূজার কাজে ব্যয় করেন। তবে এ বছর সব জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় খরচ মেটাতে হিমহিম খাচ্ছে পূজা কমিটি।
নারী সংগঠনের এ পূজা কমিটির সভাপতি অঞ্জলী টিকাদার বলেন, বর্তমানে কমিটিতে ৩২ জন নারী সদস্য রয়েছে। প্রথম বছর পূজা করে ব্যয় মিটিয়ে ২২ হাজার টাকা বেঁচে যায়। তা দিয়ে কালি মন্দিরের পাশে নতুন একটি শিব মন্দিরও তৈরি করেছি।
এ বছর সরকারের পট পরিবর্তনের ফলে পূজা করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তাছাড়া সরকারিভাবে ৫০০ কেজি চাল পেয়েছি, এলাকার নারীরা আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে বলে পূজাটা সফলভাবে উদযাপন করা সম্ভব হচ্ছে।
মাগুরা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি বাসুদেব কুন্ডু বলেন, সব স্থানেই পুরুষরা পূজা পার্বনের আয়োজন করে থাকে। বাশঁকোঠা গ্রামে নারীদের ব্যবস্থাপনায় ১৫ বছর ধরে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলায় এই দুর্গাপূজাটি ব্যতিক্রম। জেলায় এ বছর ৫৫৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৩
এমএম