সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছেয়ে গেছে #WeAreNahid (আমরাই নাহিদ) হ্যাশট্যাগে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও সরকার পতনের ডাকের ঘোষক নাহিদ ইসলামের পক্ষে ট্রেন্ড হয়েছে এই হ্যাশট্যাগ।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে আলোচনার শিরোনাম হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদে নির্বাচনে অংশ নেওয়া শিক্ষককে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) পরিচালক নিয়োগে সুপারিশ প্রদানের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। তা ছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে সচিবালয়ের সামনে তার উদ্দেশ্যে করা কটূক্তিমূলক স্লোগানের প্রতিবাদে আমরাই নাহিদ ট্রেন্ড শুরু হয়।
পরবর্তীতে বিষয়টি অপপ্রচার করা হয়েছে বলে শোনা যায়। বিষয়টি নিয়ে নাহিদের পাশে দাঁড়ান সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও আরিফ সোহেল। এবার নাহিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তার জুলাই বিপ্লবের সহযোদ্ধা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন সারজিস। লেখেন-
নাহিদ আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই রাজপথে নেমেছিল। DGFI, DB'র পাশবিক অত্যাচার, কোনো কিছুই এদের টলাতে পারেনি। হাসনাতরা আরও ৩ মাস আগেই বলেছিল 'we are open to be killed'.
মাহিন সরকার, আবু বাকের মজুমদার, রিফাত রশিদ, হান্নান মাসুদদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। শেখ হাসিনার পুরো রেজিমের ভয় এদেরকে লক্ষ্য থেকে সরাতে পারেনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লোগান ওদের পূর্ববর্তী করাপ্টেড সিস্টেম নিয়ে ছিল সেটা বুঝেছি। সহযোদ্ধাদের মধ্যে মান-অভিমান থাকতে পারে সেটা নিয়েও সমস্যা নেই। ন্যায়ের পক্ষে রাজপথের লড়াই সংগ্রাম মিনিটের মধ্যে আবার অমাদের ঐক্যকে শক্তিশালী করবে এটা আমরা বিশ্বাস করি। যখনই সংকট এসেছে আমার এই সহযোদ্ধারাই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ছুটে এসেছে।
কিন্তু এজেন্ট হিসেবে ভিতরে ঢুকে এদের কাউকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নোংরা প্রচেষ্টা যদি করা হয় তবে সেটা কখনো সফল হবে না। এই বন্ধন এমনি এমনি তৈরি হয়নি। হাতে হাত রেখে রাজপথে ঘাম ঝড়িয়ে, রক্ত ঝড়িয়ে, জীবনের মায়া ত্যাগ করে একসাথে লড়াই করে এই বন্ধন তৈরি হয়েছে।
সাবধান!
বাংলাদেশ সময়: ১১১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৪
এমজে