আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে সেটা হবে হত্যা ও নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনার পর।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) টাইমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টাইমের প্রশ্নে আওয়ামী লীগকে নিয়ে কয়েকটি কথা বলেছেন নোবেল জয়ী এ অধ্যাপক। তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে রূপান্তর হওয়া সরকার পতনের সফল আন্দোলনের পর। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা নিজের দল ও জনগণকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার পর বিদেশ থেকে ফিরে বাংলাদেশের হাল ধরে ড. ইউনূস।
এরপর তার তত্বাবধানে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপরই বাংলাদেশের সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। যদিও এসব প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের বর্তমান কোনো রাজনীতিককে যুক্ত করা হয়নি।
আওয়ামী লীগকে নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অন্য যে কারও মতো তারা (আওয়ামী লীগ) স্বাধীন। আমরা তাদের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মোকাবিলা করব। তবে তার আগে সবাই সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার অধিকার রাখেন। তারা সেটি পাবেন। হত্যা ও নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনার পর আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে স্বাগত জানানো হবে।
বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক দল খুব দ্রুত নির্বাচন চাইছে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে। তবে নাগাদ ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন হবে সেটির একটি ধারণা বা নির্বাচনী রোডম্যাপও দাবি করছে। আবার কিছু দল বলছে, সময় নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে নির্বাচন হোক। এ বিষয়ে ইউনূস সরকারের তাড়াহুড়া নেই।
ড. ইউনূসে বলেছেন, নির্বাচনের জন্য নির্দিষ্ট কোনো তারিখ এখনো নির্ধারণ করেনি সরকার। প্রথমে আমাদের রেললাইন ঠিক করতে হবে, যাতে ট্রেন সঠিক দিকে যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২৪
এমজে