ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যাত্রাবাড়ীতে থেমেছে সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে গিয়ে বাধার মুখে যৌথবাহিনী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
যাত্রাবাড়ীতে থেমেছে সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে গিয়ে বাধার মুখে যৌথবাহিনী আটকে পড় শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে গেলে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়ে যৌথবাহিনী | ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ থেমেছে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের সামনে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী, স্থানীয় বাসিন্দা ও উৎসুক জনতা রয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, এপিবিএন ও পুলিশের কয়েকশ সদস্য রয়েছেন। তবে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের আশপাশে দেখা যায়নি।

মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ভেতরে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের বেশ কিছু শিক্ষার্থী আটকা পড়েছে বলে জানা গেছে। তাদের উদ্ধারে বিকেল সোয়া ৩টায় যৌথবাহিনী মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে কলেজটির শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়ে। বিকেল পৌনে ৪টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কলেজের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি যৌথবাহিনী।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, ভেতরে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা আটকে আছে। আমরা তাদের উদ্ধারের জন্য ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আমাদের উপরে চড়াও হয়েছে। পরে আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের আমরা বিষয়টা অবগত করেছি। বিকেল ৪টায় আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসব।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের সামনে ওই কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মুহূর্তেই যাত্রাবাড়ী-ডেমরা সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে লাঠিসোঁটা হাতে সোহরাওয়ার্দী কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে জড়ো হন। পরে তারা মিছিল নিয়ে কবি নজরুল কলেজের সামনে আসেন। এ সময় নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ মাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানালে দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন।

পরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ডেমরা সড়ক সংলগ্ন মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালান। এ সময় মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।

পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেলে মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিতের মৃত্যুর ঘটনায় রোববার ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। পূর্বঘোষিত সেই ‘সুপার সানডে’ কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ও পাশের সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর চালান মোল্লা কলেজসহ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা।

ওই সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রে অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ওই হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে সোমবার মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালান সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
এসসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।