মৌলভীবাজার: বন্ধুদের সঙ্গে লাউয়াছড়ায় বেড়াতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় এসএসসি শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
শিক্ষার্থীর নাম সাম্য দে.।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়ায় রেল লাইনে পাশে বন্ধুদের সাথে ছবি তুলতে গেলে ট্রেনের ইঞ্জিনের আঘাতে সে মারাত্মক আহত হয়। পরে তাকে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সিলেট-চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা ট্রেনের ইঞ্জিন সিলেট রেল স্টেশনে বিকল হয়ে পড়ে। শুনেছি আখাউড়া থেকে একটি ইঞ্জিন সিলেট যাওয়ার পথে লাউয়াছড়ায় এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিলে সে মারা গেছে।
সাম্যর সাথে লাউয়াছড়া ঘুরতে যাওয়া সহপাঠী ফরহান বাংলানিউজকে জানান, আমরা কয়েকজন লাউয়াছড়ায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমরা ছবি তুলে তাড়াতাড়ি চলে যাবো এটাই আমাদের প্লেন ছিল। এরপর ছবি তুলেছিলাম। স্কুল ব্যাগ কাঁধে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনের ইঞ্জিন প্রায় আমাদের কাছে চলে আসে। আমরা খেয়াল করিনি। তখন দেখলাম যে আমার সামনে দুইটা ফ্রেন্ড বিপরীত পাশে দৌঁড়ে চলে গেল। কিন্তু সাম্য ওই সময় কি করলো সেটা জানি না। ট্রেন যাওয়ার সময় একটা আওয়াজ পেলাম। আমরা তখন গুরুত্ব দেইনি। পরে দেখি যে সাম্য রেল লাইনের পাশে পড়ে আছে। তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেল ডাক্তার বলেন যে সে মারা গেছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ক্লার্ক রিতা দে ও শ্রীমঙ্গল শহরের মাস্টারপাড়া এলাকার প্রবাসী সুব্রত দে’র একমাত্র সন্তান সাম্য।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মওদুদ হাওলাদার বলেন, শুনেছি কয়েকজন বন্ধুরা মিলে লাউয়াছড়া বনে ছবি তুলতে গিয়ে দুর্ঘটনার মারা গেছে। সাম্যর পিতা আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের নিকট মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, মৃতদেহ বিকেলে শ্রীমঙ্গল শহরের মাস্টারপাড়ার বিজয় কুটিরে নিয়ে এলে শোকের ছায়া নেমে আসে। ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অয়ন চৌধুরী স্কুলের শিক্ষকদের সাথে নিয়ে তাদের এসএসসি পরীক্ষা পরীক্ষার্থী সাম্যর মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সাম্যর মরদেহ সন্ধ্যায় তাদের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের বাসুদেবশ্রী গ্রামের শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
বিবিবি/এমএম