ঢাকা: সম্প্রতি বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে তাবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকায় অবস্থিত অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষরা।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক নাজিমউদ্দীন ভূইয়া লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। পরে তিনি তাবলীগের বিবদমান সমস্যা সমাধানে ৯ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন।
শিক্ষকদের ৯ দফা দাবি হলো—
১. সকলের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিবদমান পক্ষসমূহের মধ্যে মতপার্থক্য দূরীকরণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ।
২. গত ১৮ ডিসেম্বর টঙ্গী ময়দানে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা।
৩. উক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত নিরপরাধ কারাবন্দিদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া।
৪. উভয়পক্ষকে তাদের সর্বোচ্চ মুরুব্বিদের নিয়ে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দেওয়া।
৫. উভয়পক্ষকে কাকরাইল মসজিদে আমলের সময় বণ্টন সমান করা, অর্থাৎ এক মাস এক মাস করা।
৬. টঙ্গীর ইজতেমার মাঠ উভয়পক্ষকে সমানভাবে অর্থাৎ ছয় মাস ছয় মাস (জানুয়ারি-জুন ও জুলাই-ডিসেম্বর) করে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা ও অন্যান্য আমলের জন্য ভাগ করে দেওয়া।
৭. দেশের অন্যান্য মসজিদে আমলের সময় সমবণ্টন অর্থাৎ ১৫ দিন ১৫ দিন করা।
৮. কোনো পক্ষ মসজিদে আমলের সময় যাতে অন্য পক্ষকে বাধা না দেয়, তা পর্যবেক্ষণ ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা।
৯. পূর্ব-ঘোষিত তারিখ (৭-৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) অনুযায়ী মাও. সাদ অনুসারীরাদের ইজতেমা সুষ্ঠু ও সুশৃংখলভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মঞ্জুরুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ মনিরুল ইসলাম, বুয়েটের অধ্যাপক ড. শফিউল বারী এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদ, জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ এন এম আসাদুজ্জামান ফকির।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৪
এসসি/এমজেএফ