ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

গোলাম রাব্বানীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন হাসনাত

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
গোলাম রাব্বানীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন হাসনাত হাসনাত আবদুল্লাহ

ঢাকা: নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনিও চলে যান দেশের বাইরে।

ভারতে সস্ত্রীক দেখা গেছে তাকে। সেখান থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব তিনি।

ফেসবুকে একটি কমেন্টের সূত্র ধরে এবার গোলাম রাব্বানীকে দেশে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের অংশ হিসেবে দলটির নেতাকর্মীদের বিচার চেয়ে রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট দেন হাসনাত। ওই পোস্টে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসনাতদের বিচার করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন।  

মন্তব্যের ঘরে গোলাম রাব্বানী লেখেন, ‘মেটিকুলাসলি ডিজাইনড ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদী অংশ হিসেবে দেশকে পাকি বীর্যের উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দিয়ে চরম অরাজকতা, নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দেওয়ার জন্য সবার আগে তোমাদের বিচার করা জরুরি। ’

পরে সেই কমেন্টের জবাব দেন হাসনাত। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে লেখেন, ‘গোলাম রাব্বানী দেশে আসেন। দেশে এসে বিচার করেন। হেডম থাকলে আসেন। ’

এদিকে, হাসনাত তার মূল পোস্টে লেখেন, ‘রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতিতে মাত্র তিন দিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতাকর্মীরও বিচার হয়নি। বর্তমান সরকারের এ ধরনের দয়াপরবশ হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচার করতে স্বেচ্ছায় বিলম্ব করা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে অপমানের শামিল। ’

তিনি আরও লেখেন, ‘অথচ, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়তো। নির্বিচারে গুম, খুন ও আরেকটি গণহত্যা করতে তারা তখন বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শত শত মানুষের গলায় পড়তো ফাঁসির দড়ি, ক্রসফায়ারে মারা পড়তো অগণিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী মানুষ, আয়নাঘরের অন্ধকারে ঠাঁই হতো হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। সারা দেশে তখন নেমে আসতো নিরপরাধ জনমানুষের শোকের কালছায়া। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।