লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রী হিরামনিকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় আরিফ হোসেন নামে এক আসামিকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান এ রায় দেন।
হিরামনি সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত হারুনুর রশিদের মেয়ে এবং স্থানীয় পালের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
দণ্ডপ্রাপ্ত আরিফ একই ইউনিয়নের পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের মো. হানিফের ছেলে।
এদিকে মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে মামলার বাদী হিরামনির মা ফাতেমা বেগম।
ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) তারেক আল আমিন রিশাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আরিফ যখন গ্রেপ্তার হয়েছে তখন তার বয়স ১৭ বছর ১১ মাস ২২ দিন ছিল। এতে আদালত তাকে শিশু হিসেবে গণ্য করে। শিশু আইনে ১০ বছরের সাজা সর্বোচ্চ রায়। আসামিকে আদালত সর্বোচ্চ রায় দিয়েছে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ১২ জুন হিরামনিকে বাড়িতে একা পেয়ে আরিফ ধর্ষণ করে। পরে অপরাধের দায় আড়াল করার জন্য তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ২১ জুন সন্দেহভাজন হিসেবে আরিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে ১৫ জুন তরিকুল ইসলাম অয়ন ও সুমন পাটওয়ারী নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তে ঘটনার সঙ্গে অয়ন ও সুমনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। ডিএনএ প্রতিবেদনের মাধ্যমে আরিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
পরে একই বছরের ২১ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার তখনকার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোসলেহ উদ্দিন আদালতে আরিফের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একইসঙ্গে তদন্তে অয়ন ও সুমনের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামি আরিফকে ১০ বছরের সর্বোচ্চ সাজার রায় দেয়।
মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মামলার বাদী ফাতেমা বেগম বলেন, হত্যাকারী আরিফ জেলে আসামি জেলে থাকায় ইতোমধ্যে প্রায় ৫ বছর ছিল। রায়ে তাকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছে। আমার মেয়ের হত্যাকারী মাত্র পাঁচ বছর জেল খাটবে, আমি তা মানতে পারছি না। আমার মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যা করেছে। এতে আমি কখনো সন্তুষ্ট হতে পারি না।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৫
আরএ