ঢাকা: বাংলা কি-বোর্ড অভ্র তৈরির কিংবদন্তী মেহদী হাসান খানের সঙ্গে তার তিন বন্ধুকেও একুশে পদক দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের ১৪ কীর্তিমান ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান/দলকে একুশে পদক-২০২৫ এ ভূষিত করেছে যা দেশের সকল স্তরের মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়।
একুশে পদকে ভূষিত গুণীজন হলেন- শিল্পকলা-চলচ্চিত্রের জন্য আজিজুর রহমান (মরণোত্তর), শিল্পকলা-সংগীতে উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর), শিল্পকলা-সংগীতে ফেরদৌস আরা, শিল্পকলা-আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন, শিল্পকলা-চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা, সাংবাদিকতায় মাহফুজ উল্লা (মরণোত্তর), সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহীদুল আলম, শিক্ষায় ড. নিয়াজ জামান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহদী হাসান খান, সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর), ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর), ভাষা ও সাহিত্যে শহীদুল জহির (মো. শহীদুল হক) (মরণোত্তর), গবেষণায় মঈদুল হাসান, ক্রীড়ায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলা লেখার সফটওয়্যার অভ্রর জন্য মেহদী হাসান খানকে এককভাবে একুশে পদকে ভূষিত করা হলেও অভ্র তৈরিতে মেহদী হাসান খানের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে রিফাত নবী, তানবিন ইসলাম সিয়াম এবং শাবাব মুস্তাফাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে যাওয়া এই চার গুণীকেই অভ্রর জন্য দলগতভাবে একুশে পদকে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন।
এদিকে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ফেসবুকে স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, আজকে খুলেই বলা যায়, আমরা জানতাম মেহদী হাসান খান পুরস্কার গ্রহণ করতে আগ্রহী না। এর আগেও তাকে অ্যাপ্রোচ করা হয়েছিল। তিনি পুরস্কার না নিতে পারেন জেনেও আমাদের ক্যাবিনেট থেকে আমরা পুরস্কার ঘোষণা করতে সম্মত হই। এর মাধ্যমে আমরা বার্তা দিতে চেয়েছি আমরা কাদের সেলিব্রেট করবো। কালকে তার সাথে যখন কথা হয়, তিনি তখন অসম্মতই ছিলেন। ফাইনালি তিনি পুরস্কার নিতে সম্মত হন। কিন্তু তিনি একা এই কৃতিত্ব নিতে চাননি। তার আরও তিন বন্ধু- রিফাত নবী, তানবিন ইসলাম সিয়াম এবং শাবাব মুস্তাফা- যারাও অভ্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তাদের ছাড়া তিনি পুরস্কার নিতে চাননি। আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে যাওয়া এই চার গুণীকেই অভ্রর জন্য দলগতভাবে একুশে পদকে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তারা চার বন্ধুই পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে আসছেন পুরস্কার গ্রহণ করতে। ক্যান্ট ওয়েট টু ওয়েলকাম ইউ অল। আই অ্যাম শিওর দিজ ইজ গোয়িং টু ইনসপায়ার আ লট অব ইয়াং পিপল টু মুভ ফরওয়ার্ড নো ম্যাটার হোয়াট। বাংলাদেশ, অনওয়ার্ডস অ্যান্ড আপওয়ার্ডস।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
এমআইএইচ/এমজে