বরগুনা: বরগুনার কলেজ রোডে স্ত্রী আসমা আক্তার পুতুলকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী আবুল কালাম।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কলেজ রোডে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আসমা ২০১৩ সাল থেকে পূর্বালী ব্যাংকে হেলপার পদে চাকরি করতেন। তাদের একটি ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রীর হাতের সোনার রুলি বিক্রি করেন স্বামী। স্ত্রী রুলি ফেরত চাইলে প্রায় সময় তাদের সংসারে মারামারি হতো।
আসমার খালাতো ভাই আল-আমীন বলেন, প্রায় শুনতাম তাদের পারিবারিক কোন্দল। আজও এমন খবর শুনে তাদের বাড়ি থেকে ছুটে আসে দেখি মাটিতে নিথর দেহ পড়ে আছে। পরে তাকে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমার বোনের হত্যার বিচার চাই।
আসমার মেয়ে রাকা মনি বলেন, বাবা আমাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পারিয়ে দেন। লোকজন এসে আমাকে ঘুম থেকে উঠায়। এরপর দেখি আমার মায়ের দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। পরে এলাকার লোকজন মাকে হাসপাতাল নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, রাত সাড়ে ৭টার দিকে আবুল কালাম নিজের হাতে স্ত্রীকে খুন করে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন। তারপর ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় আসমাসহ হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হত্যার আসল ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে বের হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫
আরআইএস