ঢাকা: আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে ফের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জালে পড়েছেন প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্ণধার ড. কাজী ফারুক আহমেদ।
প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে তা আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা দুদক।
বৃহস্পতিবার দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, কমিশনের নিয়মিত সভায় অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের পর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালককে প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ড. কাজী ফারুক আহমেদসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলকভাবে সাত লাখ ৬৭ হাজার ৩৫৪ টাকা আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে ২০০৮ সালের ৯ জুন অর্থ পাচারের অভিযোগে দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। এরপর ২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারি এ মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করে দুদক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, কাজী ফারুকসহ আসামিরা প্রশিকার দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের বিপরীতে বিদেশি দাতা সংস্থার কাছ থেকে প্রাপ্ত অনুদানের অর্থ এনজিও ব্যুরোর অনুমোদন ছাড়াই 'মাদার অ্যাকাউন্ট' থেকে অন্য একটি 'এফসি অ্যাকাউন্টে' স্থানান্তর করেন।
পরে ওই অর্থ কাজী ফারুকের ছেলে-মেয়ে এবং প্রশিকা কর্মকর্তা নারগিস আক্তার বানুর ছেলেসহ তিনজনকে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাঠানো হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ওই তিনজনের উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রশিকার 'এফসি অ্যাকাউন্ট' থেকে ২ হাজার ৪৬৯ দশমিক ৪১ মার্কিন ডলার বিদেশে পাঠানো হয়। দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যম অবৈধভাবে এ অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৫