ঢাকা: দেশব্যাপী চলমান অবরোধের পক্ষে-বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে এসব কর্মসূচি পালন করেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও আইন-অঙ্গনে নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
অন্যদিকে কোর্ট ভবনের সামনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ব্যানারে খালেদা জিয়াকে ‘অবরুদ্ধ’ রাখা এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে সমাবেশ করেন বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা।
সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক আব্দুল বাসেত মজুমদার বলেন, গত ২০১৩ সালে জামায়াত-শিবির নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল। তারপর বর্তমান সরকার গত বছরের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করে দেশে সুষ্ঠু অবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এ নিবার্চন সারা বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ওই নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ভুল করেছে বিএনপি-জামায়াত।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল এবং দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগপন্থি এই আইনজীবী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এ নৈরাজ্য হতে দেবে না।
সুপ্রিম কোর্টের মতো একটি পবিত্র জায়গায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে সকল আইনজীবী ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করবেন বলেও জানান তিনি।
বিচারপতির গাড়িতে হামলা ও বাড়িতে আগুন দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে অ্যাডভোকেট বাসেত মজুমদার বলেন, তাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা নাই। বিএনপি-জামায়াতের এ নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সমন্বয় পরিষদের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন।
অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া তাদের সমাবেশে বলেন, গণতন্ত্র আজ ক্রান্তিলগ্নে।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাকশাল কায়েম করেছিলেন। আজ তার কন্যা শেখ হাসিনা বাকশালের দ্বিতীয় সংস্করণ করে দেখাচ্ছেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘কলঙ্কিত’ উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, বর্তমান সংসদকে গণতান্ত্রিক সংসদ বলা যায় না। নির্বাচনে জনগণ ভোট দেয়নি। এ সংসদ জনগণের প্রতিনিত্ব করে না।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের সকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সকল জেলা বারে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপিপন্থি এই আইনজীবী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৫