ঢাকা: অবরোধ স্বত্ত্বেও বৃহস্পতিবার (০৮ জানুয়ারি) রাত থেকে যেকোনো মূল্যে সড়ক, নৌ ও রেলপথের যোগাযোগ সচল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জরুরি সভা শেষে সন্ধ্যার পর এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি অবরোধের ডাক দিয়েছে। তারা বলেছিল ঢাকা শহর অচল করে দেবে। ঢাকা শহর অচল হয়নি। তবে মাঝে মধ্যে দু’একটি স্থানে অগ্নিসংযোগ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সরাদেশে সর্বাত্মকভাবে পরিবহন চলাচল করবে। পরিবহন মালিকরা নিরাপত্তা চেয়েছেন। আমরা নিরাপত্তা দেবো। বৈঠকে পুলিশ মহাপরিদর্শক, ৠাব মহাপরিদর্শক, বিজিবি মহাপরিচালক, আনসার মহাপরিচালক রয়েছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি সার্বিক নিরাপত্তার জন্য।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা) মোস্তাফা কামালউদ্দিন, পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, ৠাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ, সংসদ সদস্য আসলামুল হক এবং সড়ক পরিবহন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল এই প্রতিবন্ধকতার প্রয়াস কীভাবে বন্ধ করা যায়। দীর্ঘ আলোচনায় সর্বাত্মকভাবে আজ (বৃহস্পতিবার) রাত থেকে আমাদের পরিবহন নেতারা বলে গেলেন বাস ও ট্রাকসহ তাদের পরিবহন চালাবেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা নিরাপত্তার দাবি করেছেন। রাস্তায় আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে। তারা সার্বক্ষণিকভাবে রাস্তায় থাকবেন যাতে পরিবহনে ক্ষতি করতে না পারে। এক্ষেত্রে পুলিশের পাশপাশি ৠাব, বিজিবি ও অন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের ফায়ার সার্ভিস সার্বক্ষণিক থাকবে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেকোনো মূল্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নদীপথ, রেলপথ ও সড়ক পথ অবরোধ মুক্ত রাখবে। যাতে মানুষ চলাচল করতে পারে, ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারে। জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা মনে করেছিলাম বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে অবরোধ প্রত্যাহার করবে। যেখানে সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বিরা আসছেন, সেখানে তারা (বিএনপি) অবরোধ শুরু করেছে। কাজেই এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। তাই আমরা আমাদের দিক থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেবো, যাতে সবকিছু সঠিকভাবে, সুন্দরভাবে চলে, এটাই ছিল আলোচনার বিষয়।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কতগুলো ঝুঁকিপূর্ণ জায়গার কথা পরিবহন মালিকরা বলেছেন। সেখানে আমরা ব্যবস্থা রাখবো। জানমালের নিরাপত্তায় সরকার সম্ভাব্য সবকিছু করবে। আমরা সফলভাবে আলোচনা করেছি। আমরা মনে করি আজ রাত থেকেই গাড়ি চলবে।
বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সেক্রেটারি জেনারেল খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, আলোচনা হয়েছে। গাড়ি চলবে।
ক্ষতিপূরণের আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলোচনা হয়েছে। আগেও ক্ষতিপূরণ পাওয়া গেছে। নিহতদের ক্ষেত্রে চার থেকে পাঁচ লাখ দেওয়া হয়েছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৪/আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা/আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা