বিশ্ব ইজতেমা ময়দান থেকে: রোগী সামাল দিতে তৎপর টঙ্গি সরকারি হাসপাতাল। ইজতেমা উপলক্ষে ৫০ শয্যা বাড়িয়ে ১শ’ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে।
হাসপাতাল ছাড়াও বেসরকারি ব্যাংক ও বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগেও বসানো হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র।
এসব চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে বিনামূল্য দেওয়া হচ্ছে মুসল্লিদের চিকিৎসাসেবা।
বিশ্ব ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা যাতে প্রাথমিক ভাবে সুচিকিৎসা পান, সে লক্ষ্যে ময়দানের আশেপাশে রয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা ক্যাম্প। এ ক্যাম্পগুলো থেকে মুসল্লিরা বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন। টঙ্গি সরকারি হাসপাতালের উদ্যোগে টঙ্গির মুন্নু গেট, বাটা গেট, হোন্ডা গেট ও তুরাগ নদীর পশ্চিম পাশে ২টি ক্যাম্পসহ মোট ৫টি অস্থায়ী চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার প্রসঙ্গে টঙ্গি সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের চিকিৎসাসেবা দিতে আমরা প্রস্তুত। তাই হাসপাতালে আরো ৫০ শয্যা বাড়নো হয়েছে। এছাড়াও ময়দানের আশে-পাশে হাসপাতালের পক্ষ থেকে ৫টি অস্থায়ী চিকিৎসা ক্যাম্প করা হয়েছে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে ১২টি অ্যাম্বুলেন্সের সার্বক্ষণিক সুবিধা রয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের বিনামূল্যে এ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।
এবার ইজতেমায় ৮ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
টঙ্গি সরকারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ৩ জন মুসল্লিকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইজতেমার প্রথম দিন (৮ জানুয়ারি) ২ হাজার ৭শ’ ৮১ জন এবং দ্বিতীয় দিন (৯ জানুয়ারি) ৪ হাজার ২শ’ ২২ জন মুসল্লিকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট টঙ্গি সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংক ও বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগেও বসানো হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র। এ কেন্দ্রগুলো থেকেও মুসল্লিদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। ময়দানের চারপাশে অবস্থিত এ চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো।
ইজতেমা ময়দানের প্রবেশ মুখে একটি ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা মিডফোর্ড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. আনিসুল গনি খান বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মুসল্লিদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এখানে ২ জন চিকিৎসক ৮ জন সহযোগীসহ মোট ১০ জন কাজ করছেন। এখানে অনেকেই আমাশয় ও ডায়রিয়াজনিত কারণেও চিকিৎসা নিতে আসছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি আমরা বিনামূল্যে ওষুধ সেবাও দিচ্ছি।
তিনি বলেন, জটিল কোনো সমস্যা দেখলে সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থাও আমরা নিয়ে থাকি।
এসব প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে রয়েছে মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়। লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে মুসল্লিরা নিচ্ছেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫