ঢাকা: দেশে চলমান সহিংসতা ও নৈরাজ্য দেখলেই তা প্রতিহত করবে সাংস্কৃতিক কর্মীরা। তাদের সঙ্গে অংশ নেবে দেশের সাধারণ মানুষও।
শুক্রবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে ‘দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ’ শীর্ষক এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ বলেন, খালেদা জিয়া অবরোধ-হরতালের নামে সহিংস কর্মসূচি দিয়ে দেশে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ করতেই কর্মসূচির নামে মানুষ পুড়িয়ে মারছেন তিনি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার চেতনায় সাংস্কৃতিক কর্মীরা যেখানে কোনো নৈরাজ্য দেখবে, সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। সাংস্কৃতিক কর্মীরাই এ ধরনের সহিংসতা প্রতিহত করবেন। যোগ দেবেন সাধারণ মানুষও।
পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব ডা. কামরুল হাসান খাঁন বলেন, খালেদা জিয়ার অবরোধে কিছু দুষ্কৃতিকারী পেট্রোল দিয়ে মানুষ মারছে। এটা কোনো সভ্য দেশে কাম্য নয়।
মানুষ পোড়োনোর রাজনীতি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক বলেন, আমরা একাত্তরে পেরেছি, এখন পারবো না কেন? অবশ্যই পারবো। এক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সমাবেশে সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, নিহতদের স্মরণে ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হবে। একই সঙ্গে দেশব্যাপী নৈরাজ্য প্রতিরোধে শপথ নেবেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে নাট্যকার নাদের চৌধুরী, ড. ইনামুল হক, সংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর, আবৃত্তি শিল্পী বেলায়েত হোসেন এবং নাট্যকার ঝুনা চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এর আগে বিকেলে বিভিন্ন গণ সংগীতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৪
** গানে গানে সহিংসতা প্রতিরোধ সমাবেশ