ঢাকা: রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম তালিকা (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিলের ওপর অধিকতর শুনানি শেষে নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রোববার (১১ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম তালিকা নিয়ে সরকারের আপিল নিষ্পত্তি করে গত ৬ জানুয়ারি সংক্ষিপ্ত আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। এ আদেশ নিয়ে আইনজীবীর বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম তালিকা সংক্রান্ত মামলা অধিকতর শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (৮ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের এক নম্বর আদালতের দৈনন্দিন কার্যতালিকাভুক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানির পর রোববার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখা হয়।
রোববার এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও রিট আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ শুনানি করেন। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ সংক্ষিপ্ত রায় দেন।
সংক্ষিপ্ত রায়ে আপিল বিভাগ বলেন, ‘আপিল ডিসপোজসড অফ উইথ এক্সপাংশন, মোডিফিকেশন, অবজারভেশন, অ্যান্ড ফাইন্ডিংস’।
সূত্রমতে, ১৯৭৫ সালের ওয়ারেন্ট অফ প্রিসিডেন্সে প্রধান বিচারপতির পদমর্যাদাক্রম স্পিকারের সঙ্গে তিন নম্বর ক্রমিকেই ছিলেন। কিন্তু ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অফ প্রিসিডেন্সে সেটা পরিবর্তন করে প্রধান বিচারপতিকে চার নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়।
১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে একটি রিট আবেদন দায়ের করে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর জেলা জজদের পদমর্যাদা সচিবদের নিচে দেখানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট।
রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দেওয়া রায়ে ৮টি নির্দেশনা দেন। এ নির্দেশনা অনুসারে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫