ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মার্চের মধ্যে নদীর ভাঙন রোধ প্রকল্প শেষ করার নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫
মার্চের মধ্যে নদীর ভাঙন রোধ প্রকল্প শেষ করার নির্দেশ

ঢাকা: দেশের বন্যাপ্রবণ এলাকার নদীর ভাঙন রোধে নেওয়া প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

বর্ষ‍া মৌসুম শুরু হওয়ার সময় ঘনিয়ে এলেও এখনো অধিকাংশ এলাকায় কাজই শুরু করেনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

তাই, অতিদ্রুত এসব কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কমিটি। এ জন্য চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে কমিটি।

রোববার (১১ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ‘পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়’ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৭ম বৈঠকে এ নির্দেশ দেয় কমিটি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন।

বৈঠক শেষে রমেশ চন্দ্র সেন বাংলানিউজকে বলেন, নদী ভাঙন রোধ প্রকল্পের কাজ অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে। যেভা‍বে কাজ এগিয়ে চলেছে, তাতে আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে শেষ করা কঠিন হয়ে যাবে। তাই, আমরা মন্ত্রণালয়কে বলেছি, মার্চ মাসের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করতে হবে। তা না হলে বর্ষা মৌসুমে আর কাজ করা যাবে না।

এদিকে, চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী ওরাউজান উপজেলার কর্ণফুলী নদী, বোয়ালখালী ওরাইখালী খালের উভয় তীরের বিভিন্ন অংশের প্রতিরক্ষা প্রকল্পের কাজ আগামী বর্ষা মৌসুম শুরুর হওয়ার আগেই শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে।

বৈঠকে জানানো হয়, বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনারহাট সেতুর কাছে দুধকুমার নদীর ভাঙন থেকে ভুরুঙ্গামারী মাদারগঞ্জ সড়ক রক্ষার কাজ চলছে।

এছাড়া উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ হয়ে বজরা সিনিয়র মাদ্রাসা পর্যন্ত তিস্তা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এবং কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী ও উলিপুর উপজেলাধীন বৈরাগীর হাট ও চিলমারী বন্দর ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীরের ভাঙন রক্ষা প্রকল্প ফেজ-২’র কাজ চলছে।

কমিটি চিলমারী বন্দর রক্ষার স্বার্থে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী ও উলিপুর উপজেলার বৈরাগীর হাট ও চিলমারী বন্দর ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীরের ভাঙন থেকে রক্ষা প্রকল্পের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে সেই এলাকার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সুপারিশ করে।

সুনামগঞ্জে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নবনির্মিত ভবনে হাওর বোর্ড স্থানান্তর এবং এর কার্যক্রম দ্রুত উদ্বোধন করার সুপারিশ করে কমিটি।

এদিকে, কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে কমিটির সদস্যদের যাওয়ার কথা রয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- কমিটি সদস্য পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং এ কে এম ফজলুল হক।

এ ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।