ঢাকা: খালেদা জিয়ার সঙ্গে অমিত শাহের কথা হয়েছে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, অস্বীকার করার বিষয়টি অমিতের ব্যক্তিগত।
রোববার (১১ জানুয়ারি) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গুলশান কার্যালয়ে দেখা করে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা মুখোমুখি হলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় বিএনপির চলমান অবরোধ-আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ব্যারিস্টার রফিকুল মিয়া।
প্রথমে কে ফোন দিয়েছিলেন এমন প্রশ্নে রফিকুল ইসলাম জানান, এ প্রশ্ন খালেদা জিয়াকে করা হয়নি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে সরকার বন্দি করে রেখেছে। আর বন্দিকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। কিন্তু তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতে পুলিশি হেফাজতে রেখে পেপার স্প্রে করা হয়েছে। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি আগের থেকে ভালো আছেন।
আন্দোলন কতদিন চলবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমাদের দাবি গণতন্ত্র রক্ষা করা, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। এ লক্ষে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম।
তিনি আরও বলেন, আমরা বেশি কিছু চাইনি। শুধু ৫ জানুয়ারি সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার তা আমাদের করতে দেয়নি।
১২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সমাবেশ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকাতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু সরকার ইচ্ছা করলে আইন ভাঙতে পারেন, পুলিশি পাহারায় সমাবেশ করতে পারেন। আমরা তা পারিনা। এটাকে গণতন্ত্র বলা যায় না। এটি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, আলোচনা নিয়ে সরকার নানাভাবে ব্যঙ্গ করেছে। কিন্তু আমাদের নেত্রী এখনও আলোচনার পক্ষে। সরকার যে নির্বাচন ব্যবস্থায় ক্ষমতায় এসেছে, ১৪৬ জনের কেউ শতকরা ৫ ভাগও ভোট পাননি। এ ব্যবস্থাকে গণতন্ত্র বলা যায় না। সরকার গণতন্ত্র কেড়ে নিয়েছে।
রফিকুল ইসলাম মিয়ার ছাড়াও রোববার সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির আরো দুই সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান ও ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারও যান খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫