নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত কলেজ ছাত্র তারেক (১৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারেকের মৃত্যু হয়।
শনিবার বিকেলে উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হন তিনি। এ সময় নিহতের মা ও ভাইসহ আরো ছয় জন আহত হন।
আহতরা হলেন- নিহতের মা তাহেরা খাতুন, বড় ভাই ইউছুফ জামান, চাচা জহির উদ্দিন, চাচী রাজিয়া সুলতানা, চাচাতো ভাই রাকিব ও সুমন।
এ ঘটনায় রোববার (১১ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে নিহতের মা তাহেরা খাতুন বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত তারেক উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের সুরের বাড়ীর মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি নোয়াখালী সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেলে মহেশপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার ও তার বাহিনীর সদস্যরা তারেকের পরিবারের কাছে বড় অংকের চাঁদা দাবি করে।
দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে রাতে আনোয়ার ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে তারেকদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় হামালাকারীরা তারেক, তার মা, ভাই, চাচা, চাচী, চাচাতো ভাই সহ ছয়জনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। হামলাকারীরা ওই বাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর করে।
পরে, স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতে তারেকের অবস্থার অবনতি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারেকের মৃত্যু হয়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫