ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লেবাননে ৪ বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫
লেবাননে ৪ বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

নোয়াখালী: লেবাননে বাসার কাচের জানালা ও দরজায় বরফ জমে অক্সিজেন সংকট এবং কার্বন-ডাই অক্সাইডের আধিক্যের কারণে নোয়াখালীর তিন যুবকসহ ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (১১ জানুয়ারি) রাতে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা নর্থ লেবানন প্রবাসী ও নিহত ৪ যুবকের সহকর্মী চাঁপাইনবাবগঞ্জের কামরুল হোসেনের বরাত দিয়ে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।



শনিবার গভীর রাতে (লেবাননের স্থানীয় সময়) নর্থ লেবাননের ত্রিফলী টাউনের বহুতল ভবনের একটি কক্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গনিপুর গ্রামের ৫নম্বর ওর্য়াডের চেরাংবাড়ির মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে দ্বীন ইসলাম বাবুল (৩৫), একই উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের মাধবসিংহ গ্রামের অলি উল্যাহর ছেলে জহির (২৭), কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামের নাদু মিয়ার ছেলে আরিফ (৩০) ও গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর উপজেলার লতিফপুর গ্রামের আবদুর রব শেখের ছেলে সুজন (২৫)।

পরিবারের লোকজন বাংলানিউজকে জানায়, শনিবার রাতে নর্থ লেবাননের ত্রিফলী টাউনের একটি বহুতল ভবনের রুমে অতিরিক্ত শীতের কারণে বালতিতে আগুনের শিখা দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে আগুন নিভিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ওই ৪ যুবক।

কিন্তু আগুন পুরোপরি না নিভে পুনরায় আবার জ্বলে উঠে। এতে ধোয়ার সৃষ্টি হয় এবং দরজা-জানালার ফাঁকে বরফ জমে থাকায় বাহিরে তা বের হতে পারেনি। এতে অক্সিজেন সংকট ও আগুনের শিখা হতে উৎপন্ন কার্বন-ডাই অক্সাইডের আধিক্যের কারণে তারা সবাই মারা যায়।

রোববার সকালে ওই রুম থেকে নিহত ৪ যুবকের লাশ উদ্বার করা হয়, এসময় দরজা-জানালায় চারদিকে বরফের জমে থাকা এবং রুমের ভিতরে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ছিল।

দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের কামরুল হোসেন নিহত সহকর্মীদের সঙ্গে ওই রুমেই থাকতেন। ঘটনার রাতে তিনি এক বন্ধুর বাসায় বেড়াতে যান।

লেবাননের পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেলেও রোববার সরকারি অফিস বন্ধ থাকয় লাশের ময়নাতদন্ত হয়নি। সোমবার ময়নাতদন্ত সম্ভবনা রয়েছে।
 
এ খবর বাংলাদেশে পৌঁছার পর পরিবার লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ বাংলাদেশে আনতে সরকারের সহযোগিতার দাবি জানানো হয়েছে।

নিহত বাবুল এক বছর আগে লেবানন যান। দুই মাস আগে তার একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারেনি তিনি। নিহত আরিফ ৩ বছর আগে লেবানন যান। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক এবং জহিরের বিয়ে ঠিক করা ছিল। কিন্তু দেশে এসে তার আর বিয়ে করা হলো না।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।