ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পূর্ব পাইকপাড়ার মিজান টাওয়ারে অবস্থিত মাদারল্যাব শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের মালিক কর্তৃক এক সেবিকা (নার্স) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
শাহনুর আলম শাহীন নামের ওই ব্যক্তি শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেবিকার শয়নকক্ষে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনার পর থেকে ধর্ষক শাহীনসহ হাসপাতালের মালিক পক্ষের একাধিক লোক গা-ঢাকা দিয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় পুলিশ ওই হাসপাতাল পরিদর্শন করে এবং ধর্ষণের শিকার সেবিকার সঙ্গে কথা বলেন।
ধর্ষণের শিকার ওই সেবিকার বরাত দিয়ে সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ইশতিয়াক আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, মেয়েটি হাসপাতালের চার তলার ৪০৯ নম্বর কক্ষে থাকতো। শনিবার রাত অনুমান সাড়ে ১১টার দিকে শাহীন ওই মেয়ের কক্ষে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে শাহীন পালিয়ে যায়। পরে সকালে জ্ঞান ফিরে এলে হাসপাতালের মালিকসহ কর্মরত অন্যদেরকে বিষয়টি জানায় সে। তবে মেয়েটি অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় রোববার দিনভর বিমূর্ষ অবস্থায় ওই কক্ষেই ছিল।
রোববার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, নিচতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত সুনসান নিরবতা। হাসপাতাল ভবনের মালিক মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন চারতলার ৪০৯ নম্বর কক্ষের বাইরে অবস্থান করছেন। ভেতরে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি সজোরে চিৎকার করছিল। এসময় ৪০৫ নম্বর কক্ষে হাসপাতালের দুই পরিচালকের সঙ্গে পুলিশের কর্মকর্তা কথা বলছিলেন।
হামিদ মিয়া নামে হাসপাতালের এক পরিচালক জানান, শনিবার রাতে শাহীন এক সেবিকাকে ধর্ষণ করেছে এমন ঘটনা তিনি শুনেছেন। পুলিশ আসার আগে এ নিয়ে মালিক পক্ষের কয়েকজন বৈঠকও করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই সেবিকা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
এসআই ইশতিয়াক আহমেদ জানান, মেয়েটির বাবাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে অভিযুক্ত শাহনুর আলম শাহীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাসপাতালের মালিক পক্ষের অধিকাংশরাই হাসপাতাল চালাতে চাচ্ছেন না। এজন্য আমি পাঁচজন সেবিকাকে অন্যত্র চাকরি নিতে নোটিশ করি। এরপরই আমাকে ফাঁসাতে ওই নার্স এমন অভিযোগ তুলে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন হাসিনা বেগম বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫