ঢাকা: সোমবার (১২ জানুয়ারি) স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৩তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠে ভোর থেকেই দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান চলছে।
ভোর ৫টায় শুরু হয় মঙ্গলারতি। এরপর পর্যায়ক্রমে চলছে বৈদিক মন্ত্রপাঠ, ভজন সংগীত, বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠ, হোম, পূজা শেষে প্রসাদ বিতরণ।
বিকেল ৫টায় রয়েছে আলোচনা সভা। এতে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আলোচনা করবেন।
স্বামী বিবেকানন্দ মনে করতেন, শিক্ষা পরিপূর্ণতার এক প্রকাশ। তা মানুষের মধ্যেই থাকে। তার কাছে শিক্ষা ছিল আরও বেশি কিছু। তিনি শিক্ষাকে মানুষ তৈরি করার, জীবন দানের ও চরিত্র গঠনের মাধ্যম মনে করতেন। শিক্ষাকে তিনি মহান চিন্তার সমষ্টি মনে করতেন।
বিবেকানন্দ ছিলেন একজন ভারতীয় হিন্দু সন্ন্যাসী। তিনি পাশ্চাত্যে বেদান্ত দর্শন প্রচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে ভারতেও ধর্মসংস্কারে তার বিশেষ অবদান রয়েছে।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা সম্পর্কে বলেছেন, ‘যদি ভারতকে জানতে চাও, তবে বিবেকানন্দের রচনাবলী পড়ো। তার মধ্যে যা কিছু আছে সবই ইতিবাচক, নেতিবাচক কিছুই নেই।
বিবেকানন্দ অনুভব করেছিলেন, দেশের ভবিষ্যৎ জনগণের ওপর নির্ভর করে। তাই তিনি মানুষের ওপর বেশি জোর দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, আমার উদ্দেশ্য হল মানুষের চরিত্র গঠন।
এভাবেই তিনি নিজের শিক্ষা বর্ণনা করেন। বিবেকানন্দ তার আদর্শ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছিলেন, মানবজাতিকে তার অন্তর্নিহিত দেবত্ব শিক্ষা দেওয়া এবং জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তা কিভাবে কাজে লাগাতে হয় তা শেখানো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫