ঢাকা: চলমান অবরোধের মধ্যে ২০ দলীয় জোটের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের প্রভাব পড়েনি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়।
সোমবার (১২ জানুয়ারি) সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলায় বাড়ছে দর্শনার্থীর সংখ্যা।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, অন্য সব দিনের মতো সকাল থেকে দশর্নাথীর সংখ্যা কম ছিলো। কিন্তু বিকেলের দিকে মেলা প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীদের বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। টিকিট কাউন্টারেও ছিলো স্বাভাবিক উপস্থিতি।
কাউন্টারে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটছিলেন মিরপুর থেকে আসা মো. মনজু। তিনি বলেন, মেলায় আসতে তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। তবে সঙ্গে ছেলেমেয়ে থাকায় কিছুটা আতঙ্কতো ছিলই।
মেলার ভেতরেও সাধারণ দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। নাখালপাড়া থেকে ভাইকে নিয়ে মেলায় এসেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউল্যাবের ছাত্রী কেয়া। তিনি জানান, মেলায় আসতে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। অন্য দিন রাস্তায় যানজট থাকে, আজ বরং যানজট কম ছিলো।
হরতালের কারণে দোকান বন্ধ রেখে মেলায় ঘুরতে আসা পুরান ঢাকার ফল ব্যবসায়ী মো. শহিদ বলেন, হরতাল দেইখা আইজ দোকান খুলি নাইক্যা।
হেল্যাইগা মেলাই আইছি। আইতে তেমন কুনো সমস্যা হয় নাইক্যা। হরতালের দিনেতো রোডে গাড়ি কম থাহে। তাই গাড়ি পাইতে একটু সময় লাগছে।
প্রোডাক্ট অব পাকিস্তান প্যাভিলিয়নের এক থ্রি-পিসের স্টলের কমর্চারী নজরুল ইসলাম জানান, অন্য দিন যেমন ভিড় হয়, আজও তেমন হচ্ছে। বেচা-বিক্রিও ভালো।
হ্যামকো প্যাভিলায়ানের এক কমর্চারী বলেন, বেচা-বিক্রি কালও যেমন ছিল, আজও তেমনই হয়েছে। তবে হরতাল না থাকলে লোকজন একটু বেশি হতো।
সকাল থেকেই বেচা বিক্রি স্বাভাবিক জানিয়ে একটি জুয়েলারি দোকানের বিক্রেতা সাজু বলেন, ধারণা করেছিলাম হরতালের কারণে মেলায় লোকসংখ্যা কম হবে। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্য দিনের মতো আজও দশর্নার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।
মেলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দশর্নার্থী দেখা গেছে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, বিভিন্ন স্যান্ডেল, পোশাক, হাতে তৈরি শিল্প ও খাবারসহ মেলার বিভিন্ন স্টলে।
এ সর্ম্পকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) উপ-সচিব মো. রোজউল করিম বলেন, হরতালে গাড়ি কম থাকে, সেক্ষেত্রে কিছুটা প্রভাব পড়তেই পারে। মানুষের যাতায়াতেরও সমস্যা হয়। তবে আজকের মেলায় এর প্রভাব অনেকটাই কম।
বাংলোদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫