ঢাকা: উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনী ব্যয়সীমা ২০ হাজার টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে, এ আসনের ব্যয়সীমা নিয়ে কোনো বিধিমালা ছিল না।
সোমবার (১২ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন বিধিমালা সংশোধনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে।
বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরমের বিষয়টি উল্লেখ করা ছাড়াও নারী আসনে নির্বাচনের জন্য সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা ব্যয়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে প্রার্থীরা এর বেশি ব্যয় করতে পারবেন না।
ইসি সূত্র জানায়, সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনী প্রস্তুতির শেষপর্যায়ে বিধিমালায় কিছু সংশোধনীর প্রয়োজন দেখা দেয়। ফলে নির্বাচনটি এখনো ঝুলে আছে।
গত ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে কর্মকর্তারা লক্ষ্য করেন, বিধিমালায় নারী আসনে নির্বাচনের জন্য কোনো মনোনয়ন ফরমের কথা উল্লেখ নেই। এছাড়া নির্বাচনী ব্যয়সীমা ও ভোটার তালিকা প্রণয়নেরও সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই। তাই সেসময় তফসিল ঘোষণা স্থগিত রেখে বিধিমালা সংশোধনের উদ্দ্যোগ নেয় ইসি।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য প্রার্থীরা এক লাখ ভোটারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাড়ে পাঁচ লাখ, দুই লাখ ভোটারের ক্ষেত্রে সাত লাখ ৭৫ হাজার ও এর বেশি ভোটার এলাকার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১১ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন।
এ বিষয়ে ইসির উপ সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, বৈঠকে বিধিমালা সংশোধনের অনুমোদন হয়েছে। এখন তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় অনাপত্তি দিলেই এটি কার্যকর হবে।
বৈঠক সূত্র আরও জানায়, উপজেলার এ নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক। তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে বিধিমালা চূড়ান্ত হলে দ্রুত এ নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছেন। তার প্রস্তাবে অন্য কমিশনারও সায় দিয়েছেন।
এর আগে তিনি বাংলানিউজকে বলেছিলেন, দেশের ৪শ’ ৮৭ উপজেলার নারী আসনে একসঙ্গেই নির্বাচন করা হবে। নারী আসনগুলোর সীমানা নির্ধারণের পর দ্রুত ভোটগ্রহণের উদ্যোগ নেবে কমিশন। কিন্তু সীমানা নির্ধারণ হওয়ার পর বিধিমালা নতুন করে সংশোধনের প্রয়োজন দেখা দেয়।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে জানা গেছে, দেশের সব উপজেলায় প্রায় ১৫শ’ সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে। উপজেলা নির্বাচন আইন অনুসারে, কোনো উপজেলায় যত সংখ্যক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও পৌরসভা রয়েছে, সে সংখ্যার তিনের এক ভাগ হবে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা। ইউপি ও পৌরসভার নারী সদস্যরাই আবার ভোট দিয়ে উপজেলায় নারী আসনের জন্য প্রার্থী নির্বাচন করবেন।
২০১৪ সালে সাত দফায় সাধারণ আসনে চতুর্থ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করে ইসি। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে সংরক্ষিত নারী আসনে ভোটগ্রহণ করতে পারেনি।
একই কারণে তৃতীয় উপজেলা পরিষদও সংরক্ষিত নারী সদস্য ছাড়াই মেয়াদ উত্তীর্ণ করেছিলো। এবার নির্বাচন হলে উপজেলা পরিষদ পরিপূর্ণ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫