ঢাকা: দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অটিস্টিক শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে। অটিস্টিকদের গ্রহণে সমাজকে আগে প্রস্তুত করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
মঙ্গলবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সিরডাপ মিলনায়নে ‘অটিস্টিক একাডেমি স্থাপন ও প্রকল্পের পরিসর বৃদ্ধির লক্ষে’ মতবিনিময় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
‘অটিস্টিক একাডেমি স্থাপন প্রকল্পের’ আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
নাহিদ বলেন, অটিস্টিক শিশু নিয়ে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সচেতন না হওয়ায়, সহজে তাদের গ্রহণ করা হয় না। আগে তাদের গ্রহণের মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনার শিশু অটিস্টিক কিনা তা ছোটবেলায় শনাক্ত করে তাদের দায়িত্ব নিতে হবে।
বর্তমান জাতীয় শিক্ষা নীতিতে অটিস্টিকসহ সব শিশুর অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, আগের শিক্ষা নীতিতে অটিস্টিকসহ সব শিশুর অধিকার নিশ্চিত হয়নি। বর্তমানে পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে সব শিশু সমান সুবিধা পাবে।
নাহিদ বলেন, একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি অটিস্টিক শিশুরা দক্ষতা অর্জন করে যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
অটিস্টিক শিশুদের বিষয়ে সঠিক তথ্য নেই জানিয়ে নাহিদ বলেন, সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নেই। তবে গবেষণা করে বের করতে হবে।
অটিস্টিক একাডেমি স্থাপন বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় একাডেমি স্থাপন করে সব শিশুকে অন্তভুর্ক্ত করা যাবে না। এ শিক্ষা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
প্রত্যেক বিদ্যালয়ে একজন করে সাইকোলজিস্ট শিক্ষক দেওয়া দরকার। কিন্তু আমরা বাংলা শিক্ষক দিতে পারি না, সেখানে কিভাবে এ শিক্ষক দেব?
তবে সব অভিভাবকের মাঝে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য প্রফেসর ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
কর্মশালায় প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক সালমা বেগম। এতে একাডেমি স্থাপন বিষয়ে বিভিন্ন মতামত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৫