টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সাত জন নিহত ও দশ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার সল্লা ও ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুর এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে সল্লায় তেলবাহী একটি লরির সঙ্গে ট্যাক্সি ক্যাবের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দুই যাত্রী ও হাসপাতালে নেওয়ার পর লরির হেলপার ও ট্যাক্সি ক্যাবের চালক মারা যান।
এলেঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট কামরুজ্জামান রাজ বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তেলবাহী লরিটি সল্লা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নীল রঙের একটি ট্যাক্সি ক্যাবের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্যাক্সি ক্যাবের দুই যাত্রী নিহত ও সাতজন আহত হয়।
পরে, হাসপাতালে নেওয়ার পর লরির হেলপারসহ দু’জনের মৃত্যু হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর শুনে কালিহাতী উপজেলার দেউপুর এলাকার মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তি এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় পেছন দিক থেকে একটি ট্রাক অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা চালক ও মোহাম্মদ আলী আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মোহাম্মদ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে একই স্থানে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী একটি ট্রাককে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী একটি অ্যাম্বুলেন্স পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও হেলপার আহত হন।
পরে, তাদের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক অ্যাম্বুলেন্সের চালককে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকলেসুর রহমান জানান, সকালে ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুরে দু’টি সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নারায়ণ চন্দ্র পাল নামে এক যাত্রীর নিহত ও তিনজন আহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৫
** কালিহাতিতে তেলবাহী লরি-ট্যাক্সিক্যাব সংঘর্ষে নিহত ৪