ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে দালালদের হামলায় তিন সাংবাদিক আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
সোমবার রাতে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি মাসুক হৃদয় বাদী হয়ে দালালসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হল- শহরের পূর্ব মেড্ডার মো. নিজাম উদ্দিনের ছেলে নাছির উদ্দিন (৩৩), একই এলাকার ঝন্টু মিয়ার ছেলে উজ্জল মিয়া (২৭) ও শেখ মো. আব্দুল আহাদের ছেলে শেখ মো. ফেরদৌস (২৮)। তারা শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এই তিনজনের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। এছাড়াও এরা নানা অপরাধে জড়িত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) সার্ভার স্টেশন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে ৩০ ডিসেম্বর নষ্ট হয়ে পড়ে। পরে পাসপোর্ট কার্যক্রম বন্ধ থাকার বিষয়ে খবর সংগ্রহ করতে তিন আসামি সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে বাংলানিউজের মাসুক হৃদয়, স্থানীয় দৈনিক সরোদ-এর নিজস্ব প্রতিবেদক শফিকুল ইসলাম স্বপন এবং ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি ও মানবজমিন-এর নিজস্ব প্রতিবেদক জাবেদ রহিম বিজনের ওপর হামলা চালায়। কার্যালয়ের চিহ্নিত দালাল মেড্ডা এলাকার নাসির দলবল নিয়ে মাসুক হৃদয়ের ওপর প্রথমে অতর্কিত হামলা করে। তাকে উপর্যুপরি লাথি ও ঘুষি মেরে মাথায় পিস্তলের বাঁট দিয়ে আঘাত করে।
হামলায় নেতৃত্বদানকারী নাছির উদ্দিন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম বিল্লাহর আপন বড় ভাই বলে পরিচয় দিয়ে মাসুকের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকিও দেয়। তখন অপর দুই সাংবাদিক স্বপন ও বিজন মাসুককে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তারাও হামলার শিকার হন।
দালালরা মাসুক হৃদয়ের ক্যানন ৬০ ডি মডেলের ডিএসএলআর ক্যামেরা, ল্যাপটপ ও মুভি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। শেষ পর্যন্ত হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচতে তারা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও অন্য সাংবাদিকেরা গিয়ে তিন সাংবাদিককে উদ্ধার করে। পরে আহত তিন সাংবাদিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস মামলা রুজুর কথা নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৭ ঘন্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫