ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তিনি একাই একশো!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫
তিনি একাই একশো! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক বিচারপতি প্রতিপক্ষ হওয়া সত্ত্বেও একাই লড়ে জিতেছেন কম্পিউটার অপারেটর মো. হারুন অর রশিদ।

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা পদ্ধতি কম্পিউটারাইজেশন প্রকল্পে তার নিয়োগের বিষয়ে হাইকোর্ট, আপিল বিভাগ, এমনকি রায় পুর্নবিবেচনার আবেদনও তার পক্ষে গেছে।



বুধবার (১৪ জানুয়ারি)  হারুন অর রশিদসহ তিনজনকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বোর্ড রিভিউ করলে আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন।

এর আগে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে কারিগরি বোর্ড আপিল করলে তা খারিজ করেন আপিল বিভাগ।

রায় হওয়ার পর হারুন অর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা পদ্ধতি কম্পিউটারাইজেশন প্রকল্পের অস্থায়ী কম্পিউটার অপারেটর তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা পদ্ধতি কম্পিউটারাইজেশন প্রকল্পের আওতায় ২০০৪ সালে ১৪ জুন তাকেসহ দশজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৫ সালে প্রকল্প বন্ধ করার পর প্রকল্পের প্রোফাইলের ৪৯ ধারা অনুসারে প্রকল্প শেষে তাদের রাজস্ব খাতে বদলি করার কথা ছিল।

কিন্তু ১৯৯৭ সালে মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক সার্কুলার অনুযায়ী, প্রকল্পের আওতায় নিয়োগ পাওয়াদের রাজস্ব খাতে বদলির বিষয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আর কর্তৃপক্ষ এটা দেখিয়েই তাদের নিয়োগ দেয়নি।

পরে কারিগরি বোর্ড তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুসারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরীক্ষা নেওয়া হয়।

এর মধ্যে ২০১০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এ প্রকল্পে শুধু একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১০ সালের ২১ এপ্রিল বাদ পড়াদের মধ্যে মো. হারুন অর রশিদ, মামুনুর রশীদ ও আবদুল বাসেত প্রকল্পে তাদের নিয়োগ দিতে হাইকোর্টে রিট করেন।

বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রুল জারি করেন। ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাদের নিয়োগ দিতে রায় দেন।

তবে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে কারিগরি বোর্ড আপিল করলে আপিল বিভাগ তাদের আপিল খারিজ করে দেন।

এরপর বোর্ড রিভিউ করলে বুধবার আপিল বিভাগ তাও খারিজ করে দেন।

হারুন অর রশিদ বলেন, আপিল বিভাগে তিনজনের পক্ষে আমি একাই লড়েছি। এখনো অনেক যুদ্ধ বাকি। উচ্চ আদালতে রায় বাস্তবায়নের বিষয়টি এখনো রয়ে গেছে। এ পর্যন্ত অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে।

হাইকোর্টে এ তিনজনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন গোলাম মহিউদ্দিন এবং বোর্ডের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এএফএম মেজবাহ উদ্দিন।

বাংলাদেশসময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।