ঢাকা: ‘না ভাই থাক, এ নিয়ে কি বলবো। ’ হাসিমুখে এ কথাটি বলে পিঠ চাপড়ে দিলেন।
১৩ জানুয়ারি মাহবুবে আলমের রাষ্ট্রের পক্ষে আইনি লড়াইয়ের ছয় বছর পূর্ণ হয়।
সংবিধান মোতাবেক, রাষ্ট্রপতির সন্তোষানুযায়ী সময়সীমা পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এ পদে থাকতে পারবেন।
২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি এ পদে তাকে নিয়োগ দেন। আর যার হাত ধরে গত ছয় বছরে বিজয় এসেছে গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো মামলার। এর মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, যুদ্ধাপরাধ মামলা, সংবিধানের ৫ম ও ৭ম সংশোধনী মামলা, জেলা হত্যা মামলা, খালেদা জিয়ার বাড়ির মামলা ইত্যাদি।
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম বাংলাদেশের ১৫তম অ্যাটর্নি জেনারেল।
এ পদে নিয়োগ পাওয়ার পর ২০০৯ সালে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ১৯৭১ সালে যে চেতনা নিয়ে আমরা গোটা জাতি ঐক্যবন্ধ হয়েছিলাম সেই চেতনাকে ধারণ করে রাষ্ট্রের একজন আইন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবো বলে আমার আশা।
সে অনুসারে যুদ্ধাপরাধের মামলায় রাষ্ট্রের পক্ষে একাই তিনি আপিলে লড়ে যাচ্ছেন। বিনা বেতনে এক আইনজীবীকে যুদ্ধাপরাধ মামলার জন্য সরকার আপিল বিভাগে নিয়োগ দিলেও, তাকে মামলার শুনানিতে দেখা যায়নি। অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের অন্যান্য মামলাগুলোর সঙ্গে যুদ্ধাপরাধ মামলার শুনানিও অব্যাহত রেখেছেন।
নিয়োগ পাওয়ার দিন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, অতীতে একটি অধ্যাদেশ করে বিচার বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু সে বাধা অনেক আগেই দূর করা সম্ভব হয়েছে। আপিলে এ মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির চেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে।
তার এ বক্তব্যেরও হেরফের হয়নি। দায়িত্ব নেওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই নিষ্পত্তি হয় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা।
ঢাকার অদূরে বিক্রমপুরে ১৯৪৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন মাহবুবে আলম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসন বিভাগে এম এ সম্পন্ন করার পর ঢাকা সিটি ল’কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৩ সালে জজ কোর্ট, ১৯৭৫ সালে হাইকোর্ট এবং ১৯৮০ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি।
১৯৯৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সম্পাদক এবং ২০০৫ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়াও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্যও ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫