ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটিতে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত সরকারের নৈতিকতার বরখেলাপ বলে মন্তব্য করেছেন কলামিস্ট ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ।
শুক্রবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সংহতি সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাগরিক সমাজের ব্যানারে রাঙ্গামাটিতে জাতিগত সহিসংতা ও সাম্প্রাদায়িক হামলার প্রতিবাদে এবং রাজশাহীতে আদিবাসী ছাত্রনেতা বাবলু হেমব্রমের খুনিদের বিচারের দাবিতে এ সংহতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আঞ্চলিক পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া প্রতিষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত সরকারের নৈতিক বরখেলাপ উল্লেখ সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আদিবাসী আঞ্চলিক পরিষদের কোনো দাবি আছে কিনা তাও আমলে নিতে হবে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় হবে, তাড়াহুড়া করার কিছু নেই। আমরাও চাই। কিন্তু যেখানে কোনো ভালো প্রাইমারি স্কুল নেই, মাধ্যমিক স্কুল নেই, ভালো কলেজ পর্যন্ত নেই। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নামে বাঙালি মুসলমানরা অতি আধুনিক পদ্ধতিতে প্রতারণার ব্যবস্থা করছে।
‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত শিক্ষাবিদদের নয়। হঠাৎ কয়েকজন অফিসারদের সিদ্ধান্তে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, পাহাড়ি আদিবাসীদের চিন্তা-চেতনা আমলে না নিয়ে সরকারের এমন সিন্ধান্ত ঠিক নয়।
আদিবাসী সংগঠক দীপায়ন খীসার সঞ্চালনায় সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন, জনউদ্যোগ বাংলাদেশ অধিকার আন্দোলন, আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, নিজেরা করি এবং বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম।
সমাবেশ আরও উপস্থিত ছিলেন, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, পার্বত্য চট্টগ্রাম
আন্তর্জাতিক কমিশনের সদস্য খুশী কবীর, আইইডি’র নির্বাহীর পরিচালক নুমান আহমেদ খান, মানবাধিকার কর্মী অ্যাড্যাভোকেট নিলুফার বানু, সংগীত শিল্পী
মাহামুদুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে তারা। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ে এসে শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৫