ঢাকা: রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যাত্রীবাহী বাস, লেগুনা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশায় আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা। সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যেন যাত্রী পরিবহন পুড়ানোর নেশায় মেতে ওঠেন তারা।
এছাড়াও সন্ধ্যার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও এলাকায় বাস যাত্রীবাহী পরিবহন লক্ষ্য করে ককটেল ও ইট নিক্ষেপ করে অবরোধকারীরা। বেশ কয়েকজন যাত্রী ককটেল ও ইটের আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও খবর পাওয়া যায়।
শুক্রবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর রামপুরায় সাদিয়া গার্মেন্টসের সামনে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় আগুন দেয় অবরোধ সমর্থকরা।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলম তরফদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, অটোরিকশাটিতে আগুন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অবরোধকারীরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ সদস্য ও স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এরপর তেজগাওঁয়ে ঢাকা পলিটেকনিকের সামনে রাত ৭টা ৫০ মিনিটে বলাকা পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্র: জ ১২-২৬৭৬) আগুন দেয় অবরোধকারীরা।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটর মোস্তফা বলাকা পরিবহনের বাসটিতে আগুন দেওয়ার খবর বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বলাকা পরিবহনের ওই বাসটি তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সামনে এলে দুর্বৃত্তরা গাড়িটিতে আগুন দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসটির আগুন নেভায় বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে রাত সোয়া ৮টায় আসিয়ান সিটি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে (ঢাকা মেট্র: ব ১৪-১৮৩৫) আগুন দেয় অবরোধকারীরা।
এছাড়াও গুলিস্তানে কাবাডি স্টেডিয়ামের সামনে যাত্রীবাহী একটি লেগুনা পরিবহনেও (ঢাকা মেট্র: ছ ১১- ২০২৩) আগুন দেয় অবরোধ সমর্থকরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লেগুনাটির আগুন নেভায়।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার মোহাম্মদ আলী ধানমন্ডি ও গুলিস্তানে যাত্রীবাহী পরিবহনে আগুন দেওয়ার খবর দুটি নিশ্চিত করেন।
ধানমন্ডিতে আগুন দেওয়া বাসটিতে থাকা কয়েকেজন যাত্রী আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৫
** ধানমন্ডি ও তেজগাঁওয়ে যাত্রীবাহী বাসে আগুন