রাজশাহী থেকে: দিন যত গড়াচ্ছে ততই ফিকে হয়ে যাচ্ছে বিএনপি জোটের অবরোধ কর্মসূচি। কিছুটা শঙ্কা থাকলেও অবরোধ ভেঙে রাজপথে চলছে যানবাহন।
অবরোধের একাদশতম দিনে রংপুরের মিঠাপুকুরে মতবিনিময় সভা করে পুলিশ ও র্যাব প্রধান। সেখানে একটি বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার পর কঠোর হুঁশিয়ারি ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের মুখে।
শুক্রবার ঢাকা থেকে রাজশাহী আসার পথে মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মত। নামী দামী কোম্পানির বাসগুলো না চললেও গাবতলী, কল্যাণপুর স্ট্যান্ড থেকে অন্যান্য বাস ছেড়েছে উত্তরের উদ্দেশে।
রাত সাড়ে ১২টায় কল্যাণপুর থেকে তুহিন পরিবহনের বাসে রওনা দিয়ে রাজশাহী পৌঁছুতে সময় লেগেছে পাঁচ ঘণ্টা। তবে সংখ্যা কম থাকায় মহাসড়কে ছোট বড় বাসে যাত্রী ছিল বোঝাই।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম সমাবর্তনে অংশ নেওয়ার জন্য তুহিন পরিবহনে যাচ্ছিলেন ৮/১০ জন। একটু শঙ্কা থাকলেও কোনো বিপদ ছাড়াই রাজশাহী পৌঁছে সন্তোষ প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে, নিরবিচ্ছিন্নভাবে বাস চললেও যাত্রী এবং চালকের মধ্যে কিছুটা শঙ্কাও ছিল। বিএনপি-জামায়াতের পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের আতঙ্কের বিষয়টি বাসের যাত্রীদের মুখে মুখে।
তুহিন পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার জিয়াউর রহমান বলেন, দিন যত গড়াচ্ছে যাত্রী সংখ্যাও বাড়ছে। ৫ জানুয়ারির পর কয়েকদিন বাস না চালালেও এখন অনেক বাস চলছে। সড়কে বিজিবি থাকায় তারা ভরসা পাচ্ছেন।
অন্যদিকে, ট্রেনের শিডউলে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অন্তত ১০/১২ ঘণ্টা পর ট্রেনগুলো ছাড়ছে। ফলে সড়ক পথকেই বেছে নিচ্ছেন যাত্রীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫