ঢাকা: প্রিৎজকার অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী জাপানের প্রবীণ স্থপতি ফুমিহিকো মাকি বলেছেন, স্থাপত্য বিষয়ে শিক্ষা অর্জন ও কর্মে সফলতার জন্য ইচ্ছা শক্তির সঙ্গে দরকার নিবিড়ভাবে সময় দেওয়া। তাই প্রস্তুতি নিতে হবে এখনই।
শুক্রবার (১৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক স্থাপত্য সম্মেলনে স্থাপত্য কলায় অধ্যয়নরত তরুণরা কীভাবে উন্নতি করবে এ বিষয়ে এভাবেই পরামর্শ দিচ্ছিলেন তিনি।
স্থাপত্য কলার ইতিহাসবিদ ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর কাজী খালিদ আশরাফের সঙ্গে স্থাপত্য নিয়ে আলাপকালে ফুমিহিকো মাকি আরও বলেন, মানবিক সব আদান প্রদানের যেখানে ঠাঁই হয় এবং অপরকে আরও কীভাবে উজ্জীবিত করা যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
সম্মেলনে ভারতের স্থপতি মাদ্রিদে কর্মরত অনুপমা কুন্ডু স্থাপত্য কলা প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের স্থাপত্যকে মাদার অব আর্ট বলে আখ্যায়িত করেন।
রুরাল-আরবান ফ্রেমওয়ার্ক বিষয়ে আলোচনা করেন হংকং-এর স্থপতি জন লিন এবং মাদ্রিদের স্থপতি হেক্টর ফারনান্দেজ এলোরজা।
এছাড়াও বিকেল ৫টায় ‘ডিজাইন এডুকেশন’ শীর্ষক আলোচনায় ‘বেঙ্গল আর্কিটেকচার অ্যান্ড ডিজাইন ইন্সটিটিউট’র ঘোষণা দেওয়া হয় সম্মেলনে। এ ইন্সটিটিউটটি পরিচালনা করবেন লেখক এবং স্থাপত্য-ইতিহাসবিদ প্রফেসর কাজী খালিদ আশরাফ।
বক্তব্য পর্ব শেষে রবীন্দ্র সংগীত এবং সরোদ পরিবেশন করে সবাই মুগ্ধ করেন অদিতি মহসীন এবং রাজরুপা চৌধুরী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে শেষ হয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন।
সম্মেলন প্রাঙ্গণে দেশ-বিদেশি গুণী স্থাপত্যবিদদের ছবি টাঙ্গানো রয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ছিলো বেশ চোখে পড়ার মতো। এ ধরনের আয়োজনে খুশি সবাই।
শনিবার (১৭ জানুয়ারি) সম্মেলনেরে শেষ দিনে অংশ নেবেন মালয়েশিয়ার ইকো-আর্কিটেক্ট কেন ইয়েং এবং বাংলাদেশের স্থপতি বশিরুল হক, শ্রীলঙ্কার স্থপতি পালিন্দা কান্নানগারা, লস অ্যাঞ্জেলস আরবান ডিজাইনার এবং স্থপতি ফারুক আমিন এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজ অব আর্কিটেকচারের ডিন প্রফেসর কনজিয়ান ইয়ু। সবশেষে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশের স্থপতি সাইফুল হক এবং তুরস্কের স্থপতি হ্যান তুমারতাকিন।
এতে অংশগ্রহণ করছেন স্থাপত্য চিন্তাবিদ, ইতিহাসবিদ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং পেশাজীবী স্থপতিরা। ‘এঙ্গেজ ঢাকা ২০১৫: প্লেস পেজেন্স’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫