ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে, তাদের সঙ্গে সংলাপ নয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫
যারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে, তাদের সঙ্গে সংলাপ নয় ছবি: রাশেদ / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংলাপে বসতে সুশীল সমাজের আহ্বানের সমালোচনা করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।
 
সমালোচনা করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে যারা ত্যাগ করে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে, সন্ত্রাসবাদকে যারা বুকে ধারণ করেছে, তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না।


 
শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

অবশ্য তিনি তার বক্তব্যে কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উচ্চারণ করেননি।
 
ড. মিজানুর রহমান বলেন, এত দিন যারা গণতন্ত্রের কথা বলেছেন, আমাদের সুশীল সমাজ বা নাগরিক সমাজের পক্ষ হয়ে, তারা নিরীহ দগ্ধ মানুষের পাশে থেকে যখন কথা বলবেন, তখন হবে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব। কোথায় তারা আজ?

তিনি অভিযোগ করে বলেন, যখন মানুষ দগ্ধ হচ্ছে, পুড়ে বার্ন ইউনিটে মারা যাচ্ছে, তখন তারা (সুশীল সমাজ) বলছে, সংলাপ করতে হবে। সংলাপের মাধ্যমে নাকি সমস্যার সমাধান হবে!
 
কাদের সঙ্গে সংলাপ এ প্রশ্ন তুলে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, কার সঙ্গে সংলাপ? সন্ত্রাসীদের সঙ্গে? পাশবিকতার সঙ্গে? এই প্রশ্ন কিন্তু করতে হবে।

তিনি বলেন, সংলাপ হতে পারে যারা গণতন্ত্রের বন্ধু, গণতন্ত্রকে যারা ধারণ করে, যারা গণতন্ত্রের রীতিনীতি অনুযায়ী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন, তাদের সঙ্গে।
 
কমিশন চেয়ারম্যান আরো বলেন, গণতন্ত্রকে যারা ত্যাগ করে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে, সন্ত্রাসবাদকে যারা বুকে ধারণ করেছে, তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। তাদের সঙ্গে সংলাপ করলে বুঝতে হবে গণতন্ত্রের পদায়ন হয়েছে সন্ত্রাসবাদের কাছে, যেটি সমগ্র জাতির কাছে মহীরূপে চিরদিন অভিশাপ হয়ে থাকবে।
 
বিজিবি মহাপরিচালকের বক্তব্য মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়:

সম্প্রতি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালকের দেওয়া বক্তব্য সম্পর্কে ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমি যতটুকু শুনেছি, দেখেছি বিজিবির ডিজি মানুষ হত্যার ঘোষণা দেননি। তিনি বলেছেন, আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনবোধে তার বাহিনী বসে থাকবে না। আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হতে পারে। এই বক্তব্য অবশ্যই মানবাধিকার লঙ্ঘন হতে পারে না।
 
তিনি বলেন, আত্মরক্ষা এমন একটি আইনি নীতি, যা ঘোষণা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। নিশ্চয় আত্মরক্ষার্থে শক্তি প্রয়োগ একটি বৈধ পন্থা ও যে কোনো আইন ব্যবস্থায় বৈধ ও স্বীকৃত একটি পন্থা।
 
শক্তি প্রয়োগের যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, যখন চলন্ত গাড়িতে পেট্রোল ঢেলে দিচ্ছে, মানুষ পোড়ানো হচ্ছে, তখন কী আর আত্মরক্ষার জন্য এমন কিছু নীতি নেওয়ার সময় আছে!
 
নারীর ক্ষমতায়নে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান ও সিডো সনদের প্রাসঙ্গিকতা শীর্ষক এই আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন মানবাধিকার কমিশনের নারী অধিকার বিষয়ক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম।
 
এতে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, গণসাক্ষরতা অভিযানের পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী অধিকার বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুননেসা মাহতাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক কাবেরী গায়েন প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।