ঢাকা: শিশু রাফিউলের বয়স মাত্র দুই বছর। অবুঝ এই শিশুটি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) জরুরি বিভাগে।
ছবিতে শিশু রাফিউল ইসলামের মায়াবী হাসি যেন বলছে, ‘আমি বাঁচতে চাই, সুন্দর এই হাসি দিয়ে বাবা-মা আর অন্য সকলের মন ভাল রাখতে চাই। অন্য শিশুদের মতো খেলাধুলা করে বড় হবো। পড়ালেখা করে অনেক বড় মানুষ হবো। দেশের জন্য খ্যাতি অর্জন করবো। আমাকে বাঁচার জন্য সাহায্য করুন...’!
শিশু রাফিউলের দরিদ্র পিতা গাজিউর রহমান অতি আদরের সন্তানের চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যেই সহায়-সম্বল সব বিক্রি করে দিয়ে দিশেহারা হয়ে আছেন। সন্তানের দেখভালের জন্য হাসপাতালে অবস্থান করার কারণে বেশ কয়েক মাস যেতে পারছেন না কর্মস্থলে। তিনি পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত।
ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে শিশু রাফিউল গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আর্থিক সংকটে যথাযথ চিকিৎসা সেবা না পেয়ে সম্প্রতি তার অবস্থার অনেক অবনতি ঘটছে। শরীর ফুলে হাতে-পায়ে পানি জমে গেছে।
রাফিউলের হতভাগ্য বাবা গাজিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, প্রতি সপ্তাহে সন্তানের চিকিৎসার জন্য ৯-১০ হাজার টাকা ব্যায় করতে হচ্ছে তাকে। চিকিৎসা বাবদ অর্থকড়ি ব্যয় করতে করতে একেবারেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তিনি।
গাজিউর আরও জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক হেমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল করিম, ডা. মোহাম্মদ বনী এবং ডা. এসএম রেজানুর রহমানের অধীনে শিশু রাফিউল চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুস্থতার জন্য তাকে অন্তত লাগাতার ৩-৪ বছর চিকিৎসাধীন থাকতে হবে।
এমতাবস্থায় রাফিউলের পরিবার দেশ-বিদেশের হৃদয়বান ও দানশীল ব্যক্তিবর্গসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যের আকুতি জানিয়েছে।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: মো. গাজিউর রহমান, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, ঈশ্বরদী শাখা, পাবনা। মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাব নং-১১৮১১। মোবাইল (গাজিউর রহমান): ০১৭৩৭১০৩৮৭৮
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫