ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৫
পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি ছবি: রাজীব/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানিয়েছেন একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্টজনেরা। তারা বলেছেন, একাত্তরের বর্বরতা নিয়ে পাকিস্তান যেসব কথাবার্তা বলতে শুরু করেছে, তার জবাব এখন তাদের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করা।

তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখার কোনো প্রয়োজন নেই।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘অপরাজেয় বাংলা’র পাদদেশে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্টজনেরা এ কথা বলেন। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের ১ তারিখের প্রথম প্রহরে ‘ডিসেম্বর: বিজয়গাঁথা’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শফিউল্লাহ (বীরউত্তম), সিনিয়র সহ-সভাপতি এম হারুনুর রশিদ (বীর প্রতীক), ঢাবি উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রমুখ।

কে এম শফিউল্লাহ বলেন, একাত্তর সালে যে পাকিস্তানকে বিনা শর্তে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেছিলাম, সে পাকিস্তান আজ তাদের সমর্থকদের ফাঁসি দেওয়ায় আবারও কথা বলা শুরু করেছে। আমরা সভ্য বলে কিছু বলিনি। আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি। পাকিস্তান যেসব কথা বলা শুরু করেছে, এখন তাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখার প্রয়োজন নেই।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে ৩০ লাখ মানুষ হত্যা সম্ভব হতো না, যদি না তাদের সহযোগী রাজাকার-আলবদররা সহযোগিতা না করতো। এরা কী অপরাধ করেছে তা পাকিস্তানিরা জানে। আজ যখন তাদের বিচার শুরু হয়েছে, এক অপরাধী আরেক ‍অপরাধীর জন্য মায়াকান্না শুরু করেছে। একাত্তর সালে খোদ পাকিস্তান সরকার ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবে বলে কথা দিলেও তা না করে এখন যুদ্ধাপরাধীদেরই পক্ষ নিচ্ছে। তাদের সাফাই গাইছে।

ঢাবি উপাচার্য জাতিসংঘে পাকিস্তানের সদস্যপদ বাতিল করতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব উত্থাপনের দাবি জানান। একইসঙ্গে পাকিস্তানের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রস্তাব করেন।

সোমবার ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে একাত্তরের হত্যাযজ্ঞ ও কুকর্মের কথা অস্বীকার করে পাকিস্তান সরকার। তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, একাত্তরে মানবতাবিরোধী ও গণহত্যায় পাকিস্তান জড়িত ছিল বলে বাংলাদেশ সরকার যে কথা বলছে, তা ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘অমূলক’।

বক্তব্যের পর অনুষ্ঠানে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের নেতাদের হাতে এ প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে আলোকবর্তিকা তুলে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর ফোরামের নেতারাও শিক্ষার্থীদের হাতে গৌরবের জাতীয় পতাকা তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের নেতাকর্মী ছাড়াও ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৫
জেপি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।