ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘শান্তিচুক্তির দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৫
‘শান্তিচুক্তির দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তিতে যেসব বিষয় অনিষ্পন্ন রয়েছে, পাহাড়ে শান্তি আনতে সেগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া দরকার।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাস এবং গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ’র সহযোগিতায় ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন পরিস্থিতি নিয়ে নীতি-নির্ধারণী সংলাপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ দাবি জানান।



সমাবেশে ভূমিবিরোধ সমস্যার সমাধান ও আদিবাসীদের ক্ষমতায়নের দিকেও জোর দেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বের প্রধান অতিথি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা এড়ানোর উপায় নেই। পাহাড়ে সম-অধিকার আন্দোলনের নামে শান্তিচুক্তি বিরোধীদের প্রসার ঘটছে বিএনপি-জামায়াতের উস্কানি ও পৃষ্ঠপোষকতায়। চুক্তির প্রথম শর্ত ছিলো- পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগত বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রাখা। এ শর্ত বাস্তবায়ন করা জরুরি।

মন্ত্রী বলেন, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন একবারে সহজ কাজ নয়। এটা কেবল প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা থাকলে হবে না। সরষের ভেতর ভূত তাড়াতে পারলে শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ার কিছু নেই। চুক্তি বাস্তবায়নে যে বাধা তা দূর করতে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

সেমিনারে আলোচনা পর্বের প্রধান বক্তা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত শান্তিচুক্তি বিরোধীরাই রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলো। বর্তমান সরকার সংবেদনশীল। সে কারণে আলোচনা করছে। আইন করতে খুঁটিনাটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া দরকার। সরকার চুক্তি অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে।

চুক্তি বাস্তবায়নে সময় কাঠামো নির্ধারণ করে কাজ করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সময় কাঠামো দরকার। বিভিন্ন বিভাগ হস্তান্তর যাতে সময় কাঠামোর মধ্যে হয়, সে বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।

সেমিনারে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কমিটির সদস্য যতীন্দ্রলাল ত্রিপুরা বলেন, চুক্তির কিছু বাস্তবায়ন হয়েছে। যা হয়নি তার জন্য এতো দীর্ঘ সময় লাগার কথা না। চুক্তির দু’টি পক্ষই এখনও আছে। কিন্তু তাদের মধ্যকার দূরত্ব তৈরি হয়েছে কি-না সেটাই আমার প্রশ্ন।

সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল ফারুকী। আরও বক্তব্য রাখেন- ককাস’র আহবায়ক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, কবি কাজী রোজী এমপি, হাজেরা সুলতানা এমপি, নাজমুল হক প্রধান এমপি, ককাস’র সদস্য অধ্যাপক মেসবাহ কামাল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৫
এডিএ/আরএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।