ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো তুলনাই হয় না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৫
বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো তুলনাই হয় না ছবি: সোহাগ/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আমাদের বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো বিষয়েই তুলনা এখন আর চলে না বলে মত দিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘০১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল আয়োজিত জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।



মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, আমরা চাই সব মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ হোক, ঐক্যবদ্ধ থাকুক। আমাদের দেশকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিতে হবে। আসুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো তুলনা করা যায় না। যাবে না। আমরা সব ক্ষেত্রে তাদের থেকে অনেক এগিয়ে আছি।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইচ্ছাকৃতভাবে জাতিকে বিভাজন করা হয়েছে মন্তব্য করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, আজকে জাতিতে যে বিভাজন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি। এটি বাংলাদেশে ছিল না। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইচ্ছাকৃতভাবে এই বিভাজনটি সৃষ্টি করা হয়েছে।
 
তিনি বলেন, অনেকেই আমরা এই ফাঁদে পা দিয়েছি। আজকে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা। কিন্তু আমরা এখানে দেখছি বিভাজন। কারণ আমাদের মূল চেতনা মুক্তিযুদ্ধ, মূল নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধু।
 
যুদ্ধাপরাধের বিচারে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। অনেকের ক্ষেত্রে আমরা রায় কার্যকর করেছি। এটি আমাদের পরম পাওয়া। লাখো মা-বোন, মুক্তিযোদ্ধা যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মা শান্তি পাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকরের মাধ্যমে।
 
পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতা জার্মানির নাৎসি বাহিনীর বর্বরতার সঙ্গে তুলনা করে আশরাফ বলেন, এখনও জার্মানিতে কেউ হিটলারের নাম ‍মুখে নেয় না। নাৎসি বাহিনীর কথা মানুষ মুখে উচ্চারণ করে না। কিন্তু আমাদের বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতা বিরোধীদের এই জিয়াউর রহমান, এরশাদ পুনর্বাসন করেছেন।

এদিকে পহেলা ডিসেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ ঘোষণার দাবি করা হয় আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে। এর প্রেক্ষিতে সৈয়দ আশরাফ বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খানের (বীর বিক্রম) সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৫/আপডেট ১৯৫০
এমইউএম/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।